নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, করোনা ও বন্যা পরিস্থিতিতেও নৌ-পথ নিরাপদ এবং স্বস্তিদায়ক করতে সকল প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে সদরঘাটে জীবাণুনাশক টানেল স্থাপন ও যাত্রীদের তাপমাত্রা মাপার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, লঞ্চের ডেকে যাত্রীদের অবস্থান করার জন্য ‘মার্কিং’ এর ব্যবস্থা করা হয়েছে। তিনি যাত্রীদেরকে লঞ্চের মার্কিং অনুসরণ করার আহ্বান জানান।
বুধবার (২৯ জুলাই) প্রতিমন্ত্রী মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তিপত্র (এপিএ) স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব জানান।
খুব বেশি প্রয়োজন না হলে যাত্রীদের স্থানান্তর না হতে আবারও অনুরোধ জানিয়েছেন খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। তিনি ভার্চুয়াল পদ্ধতি ব্যবহার করে বন্ধু-বান্ধব এবং আত্মীয়-স্বজনদের সাথে যোগাযোগের আহ্বান জানান।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের জন্য গর্বের বিষয় পদ্মা সেতু দৃশ্যমান। পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ পর্যায়ে। সেতু কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুসরণ করে শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ী রুটে ফেরি ও লঞ্চ চলাচল করতে হয়।
পদ্মা সেতু নির্মাণের বৃহত্তর স্বার্থে দক্ষিণাঞ্চলবাসিকে উক্ত পথে চলাচলের ক্ষেত্রে সাময়িক অসুবিধা সহ্য করার কথা জানিয়ে খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, কোভিড-১৯ পরিস্থিতির উত্তরণ ঘটাতে না পারলে অর্থনৈতিক ধাক্কা লাগবে। এ পরিস্থিতির উত্তরণ ঘটাতে জনসচেতনতা প্রয়োজন। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুসরণ করতে হবে।
কর্মকর্তাদের লক্ষ্য করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, কাজের মাধ্যমে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হবে। কাজের মাধ্যমে নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয় প্রথম কাতারে থাকবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।