মৃত্যুজনিত কারণে শূন্য হওয়া পাঁচটি সংসদীয় আসনে চলছে নির্বাচনী হাওয়া। নির্বাচনে যেতে এবং প্রার্থী হওয়াটাই যেন এখন মুখ্য বিষয়। কেউ সুযোগ হাত ছাড়া করতে চান না। এর কয়েকটি কারণের মধ্যে অন্যতম একটি ক্ষমতাসীন দলের মনোনয়নপত্র কিনে এলাকায় প্রচার প্রচারণায় থাকা! পাশাপাশি দলীয় প্রধানের সঙ্গে সাক্ষাত হওয়ার সুবর্ণ সুযোগ। তাই এ সুযোগ হাতছাড়া করতে চান না নেতারা।
শূন্য হওয়া পাঁচটি সংসদীয় আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী (নৌকা প্রতীক) হতে মরিয়া দলীয় নেতারা। একই সঙ্গে দলটি দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকাতে নেতাকর্মীদের মাঝে গ্রুপিং সৃষ্টি হয়েছে বেশি। যে কারণে নেতার চেয়ে প্রার্থীই বেশি! মোটামুটি পরিচিত সব নেতাই সংসদ সদস্য হতে চান।
জাতীয় সংসদের পাঁচটি শূন্য আসনের উপ-নির্বাচনে নৌকা প্রত্যাশায় ১৪১ জন মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ ও জমা দিয়েছেন। ১৭ আগস্ট থেকে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয় থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশীরা ফরম সংগ্রহ ও জমা দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আওয়ামী লীগের উপ দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান।
মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে, ঢাকা-৫ আসনে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ ও জমা দিয়েছেন ২০ জন, ঢাকা-১৮ আসনে ৫৬ জন, পাবনা-৪ আসনে ২৮ জন, নওগাঁ-৬ আসনে ৩৪ জন, সিরাজগঞ্জ-১ আসনে ৩ জন মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ এবং জমা দিয়েছেন।
উল্লেখ্য, এই ৫টি উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের ১৭ আগস্ট হতে ২৩ আগস্ট পর্যন্ত প্রতিদিন বেলা ১১টা থেকে বিকেল ৫টার মধ্যে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয় থেকে দলীয় মনোনয়ন আবেদনপত্র সংগ্রহ এবং জমা দানের আহ্বান করে আওয়ামী লীগ।
এদিকে রোববার পাবনা-৪, ঢাকা-৫ ও নওগাঁ-৬ সংসদীয় আসনে উপনির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। পাবনা-৪ আসনে ভোট হবে আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর। অন্য দুটি আসনে ভোট গ্রহণ করা হবে ১৭ অক্টোবর। তবে করোনার প্রকোপ ও বন্যা পরিস্থিতির কারণে ঢাকা-১৮ ও সিরাজগঞ্জ-১ আসনের উপনির্বাচন আসন দুটি শূন্য হওয়ার পরবর্তী ৯০ দিনে অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসি।
আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে ইসির বৈঠক শেষে ইসির জ্যেষ্ঠ সচিব মো. আলমগীর সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।