ইনসাফভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণে প্রবাসীদের সহযোগিতা অপরিহার্য: জামায়াত আমির
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘দেশ গঠনে প্রবাসীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের হাড় ভাঙ্গা পরিশ্রমে দেশের অর্থনীতির চাকা সচল থাকলেও কোনো সরকারের আমলেই প্রবাসীরা তাদের প্রাপ্য সম্মান পায়নি।
যুক্তরাজ্যের বার্মিংহামে স্থানীয় ব্যাংকুইটিং হলে মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) আয়োজিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যকালে তিনি এসব কথা বলেন।
ক্ষমতায় গেলে প্রবাসীদের উন্নয়নে নানা পদক্ষেপ গ্রহণের পাশাপাশি দেশে প্রবাসীদের বিনিয়োগের জন্য উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন ডা. শফিকুর রহমান। তিনি আগামীতে দেশে ন্যায় ও ইনসাফভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণে প্রবাসী ভাই বোনদের সর্বাত্মক সহযোগিতা কামনা করেন।
ব্রিটেনে সফররত জামায়াতের আমির বক্তব্যের শুরুতে বাংলাদেশ এর বর্তমান পরিস্থিতি ও সাম্প্রতিক বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে নেতাকর্মীদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর প্রদান করেন। তিনি তার বক্তব্যে বিগত ১৬ বছরের জুলুম-নির্যাতনের কথা বর্ণনা করেন এবং ৫৭ জন দেশপ্রেমিক চৌকশ সেনা অফিসার হত্যা করে বাংলাদেশকে একটি অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করার প্রথম পদক্ষেপ বলে উল্লেখ করেন। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী স্বৈরাচার সরকার কর্তৃক সবচেয়ে বেশি নির্যাতিত হিসেবে দাবি করে তিনি দলীয় ১১ জন শীর্ষ নেতার বিচারিক হত্যার প্রতিবাদ জানান এবং ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে এইসব হত্যাকাণ্ডের আইনানুগ বিচার হওয়া উচিত বলে তিনি মত প্রকাশ করেন।
মতবিনিময় সভায় তিনি উপস্থিত নেতাকর্মীদের উদ্দেশে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, আপনারা আমাদের মধ্যে কোনো ভুল দেখলে আমাদেরকে সোজা করে দেয়ার চেষ্টা করবেন। আপনারা সহযোগিতা করলে আমাদের জন্য দ্বিনের পথে চলা অনেক সহজ হয়ে যাবে। মুসলিম কমিউনিটি অ্যাসোসিয়েশন, ওয়স্টে মিডল্যান্ডস-এর সভাপতি সৈয়দ জামিরুল ইসলাম বাবুর সভাপতিত্বে এবং ফরীদ মিয়ার পরিচালনায় পবিত্র কুরআন তিলাওয়াতের মাধ্যমে উক্ত অনুষ্ঠানের কার্যক্রম শুরু হয়। কুরআন মাজীদ থেকে তিলাওয়াত করেন আব্দুল্লাহ সুহেল মাদানী।
বক্তব্য রাখেন ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ ইসমাঈল, মাওলানা এটিএম মুকাররম হুসাইন, মাওলানা সাইফুদ্দীন প্রমুখ। অনুষ্ঠানে নাশিদ পরিবেশনা করে স্থানীয় ইসলামী শিল্পী-গোষ্ঠী রেনেসাঁ কালচারাল গ্রুপ। বক্তারা জুলাই আগস্টে ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনের শহীদদের স্মরণ করেন এবং আহতদের দ্রুত সুস্থতার জন্য দোয়া করেন। তিনি ব্যক্তি জীবন গঠনে জামায়াতে ইসলাম ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের ভূমিকাকে স্মরণ করেন এবং ইসলামের সুমহান দাওয়াত সবার কাছে পৌঁছে দেয়ার জন্য আগত নেতা-কর্মীদের আহ্বান জানান।