বিএনপি মহাসচিব ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বর্তমান অবৈধ সরকারের পায়ের নীচের মাটি সরে গেছে বলেই তারা বিএনপি’র যেকোন কর্মসূচিতেই আতঙ্কিত বোধ করছে। সেজন্য সরকার আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর ভর করেছে। সরকার এখন আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে জনগণের বিরুদ্ধে লেলিয়ে দিচ্ছে।
বুধবার (১৩ জানুয়ারি) বিকেলে এক সংবাদ বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলায় চার্জগঠন ও গ্রেফতারী পরোয়ানা জারির প্রতিবাদ মিছিলের প্রস্তুতিকালে জয়পুরহাট থেকে দলের ২৩ নেতাকর্মীকে গ্রেফতারের ঘটনায় এ বিবৃতি দেন তিনি।
বিবৃতিতে বলা হয়, ক্ষমতার দাপটে বিএনপি-কে ঠেকাতে এবং বিএনপি’র কর্মসূচি বানচাল করতে কর্মসূচি শুরুর প্রাক্কালে নেতাকর্মীদেরকে পাইকারী হারে গ্রেফতার করা হচ্ছে। নিজেদের দুর্নীতির সত্য কাহিনী এখন সরকারি দলের নেতাদের মুখ থেকেই বের হচ্ছে ফলে দেশব্যাপী গণধিক্কার উঠেছে। ফলশ্রুতিতে সরকার আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।
তিনি বলেন, বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোকে রাজনীতির ময়দান থেকে সরিয়ে দিতে যেকোন শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির ওপর হামলা চালিয়ে নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করা যেন বর্তমান আওয়ামী সরকারের রুটিন ওয়ার্কে পরিণত হয়েছে। দেশকে বিরোধী দলশূন্য করার ধারাবাহিকতায় আজ জয়পুরহাটে বিক্ষোভ মিছিলের প্রস্তুতির সময় জেলা বিএনপি’র আহবায়কসহ নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করা হয়েছে। ক্ষমতাসীনরা গুম, খুন, বিচার বহির্ভূত হত্যা, অপহরণ, চাঁদাবাজী, দখলবাজী, মুক্তিপণ আদায়কে জাতীয় সংস্কৃতির অঙ্গে পরিণত করেছে। দেশব্যাপী দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, গ্যাস-বিদ্যূৎ ও বিশুদ্ধ পানির অভাব, সর্বোপরি করোনা ভাইরাসের কারণে জনজীবনে যখন ত্রাহি ত্রাহি অবস্থা, তখন সরকার তাদের ব্যর্থতা ঢাকতেই দেশব্যাপী চালানো হচ্ছে বিএনপি নেতাকর্মীদেরকে মিথ্যা মামলায় কারাগারে আটকে রাখার হিড়িক। এটি গণবিরোধী সরকারের চলমান নিরবচ্ছিন্ন দমন নীতিরই বহিঃপ্রকাশ।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, সকল অপকর্ম ও অপশাসনের অবসান ঘটাতে জনগণ এখন ঐক্যবদ্ধ। জনগণের ক্ষমতা জনগণের নিকট ছেড়ে না দিলে অবৈধ সরকারের ক্ষমতার মসনদ যেকোন মুহূর্তে ধ্বসে পড়বে।
অবিলম্বে জয়পুরহাট জেলা বিএনপি’র নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত অসত্য মামলা প্রত্যাহার এবং তাদের নিঃশর্ত মুক্তির জোর দাবি জানান মহাসচিব।