দলকানা ও অযোগ্যদের স্বজনপ্রীতি করে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দেয়া হচ্ছে। একারণেই কোন কিছুই সঠিকভাবে হচ্ছে না। কেউই সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করেন না, তাই দুর্ঘটনা যেন নিত্যদিনের ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান জিএম কাদের এমপি।
বৃহস্পতিবার (৯ জুন) দুপুরে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে সীতাকুণ্ডে অগ্নিদগ্ধদের দেখতে গিয়ে একথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের মানুষের জীবনের কোন নিরাপত্তা নেই। সঠিক ব্যবস্থাপনার অভাব সর্বত্র। সরকারের সবচেয়ে বড় দায়িত্ব মানুষের জীবনের নিরাপত্তা দেয়া। কোন কিছুরই যেন পরিকল্পনা নেই।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, জোনায়েদ সাকির উপর হামলা খুবই খারাপ দৃষ্টান্ত হয়ে আছে। আমরা এই জঘন্য ঘটনার নিন্দা জানিয়েছি। নিরপেক্ষ তদন্ত কমিটি গঠন করে সঠিক তদন্তের ভিত্তিতে দোষীদের শাস্তি দিতে হবে। অসহায় মানুষদের দেখতে গিয়ে বা সহায়তা করতে গিয়ে সরকার সমর্থকের হামলার শিকার হতে হবে এরচেয়ে দুঃখজনক ঘটনা আর হতে পারেনা।
তিনি বলেন, পদ্মাসেতু উদ্বোধন বানচাল করতে ষড়যন্ত্রমৃলকভাবে সীতাকুণ্ডে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা- এটা মনগড়া কথা। আর তাই যদি হয়, এই ষড়যন্ত্র মোকাবেলার দায়িত্ব সরকারেরই। যারা সীতাকুন্ডের অগ্নিকাণ্ডকে হত্যাকাণ্ড বলছে, আমি মনে করি তারাও সঠিক বলছেন না। আমরা মনে করি এটি একটি দুর্ঘটনা। তবে, এই ভয়াবহ দুর্ঘটনা রোধ করতে সরকার ব্যর্থ হয়েছে। কনটেইনার ডিপোর মালিক বা কর্তৃপক্ষ কোনভাবেই তাদের দায়িত্ব এড়াতে পারে না।
তিনি বলেন, দুর্ঘটনার পর থেকেই চট্টগ্রামে জাতীয় পার্টির পক্ষ থেকে সার্বিক সহায়তা দেয়া হচ্ছে, আজ আমরা দিচ্ছি এবং শনিবার জাতীয় পার্টির পক্ষ থেকে আরো একটি টিম সহায়তা দেবে অগ্নিদগ্ধদের।
জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান চিকিৎসকদের সাথে কথা বলে অগ্নিদগ্ধদের অর্থ সহায়তা দেন। অগ্নিকাণ্ডে নিহতদের আত্মার শান্তি ও আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করেন।
উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য সাহিদুর রহমান টেপা, এডভোকেট মোঃ রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, উপদেষ্টা জহিরুল আলম রুবেল, যুগ্ম মহাসচিব গোলাম মোহাম্মদ রাজু, মোঃ বেলাল হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ হেলাল উদ্দিন, দফতর সম্পাদক সুলতান মাহমুদ, দফতর সম্পাদক-এম এ রাজ্জাক খান, যুগ্ম দফতর সম্পাদক মাহমুদ আলম, সমরেশ মন্ডল মানিক প্রমূখ।