বাণিজ্য ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের মধ্যে কোন টানাপোড়েন নেই: কৃষিমন্ত্রী

আওয়ামী লীগ, রাজনীতি

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, টাঙ্গাইল | 2023-08-31 06:50:30

কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, বাণিজ্য ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের মধ্যে কোন টানাপোড়েন নেই। আমরা একে অপরের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করছি।

শুক্রবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে টাঙ্গাইল শহীদ স্মৃতি পৌর উদ্যানে অনুষ্ঠিত শহর আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, মুক্তবাজার অর্থনীতিতে দাম নিয়ন্ত্রণ করা খুবই কঠিন। তবুও আমরা মনিটরিং করছি। খুব জোরালোভাবে এটা তত্বাবধান করা হচ্ছে। আমরা দেখছি কিছু অসাধু ব্যবসায়ী কৃত্তিম ঘাটতি সৃষ্টি করে দাম বাড়িয়ে মুনাফা করছে। সেটা নিয়ন্ত্রণ করার দায়িত্ব সরকারের। আমরা সেটা সর্বাত্মক চেষ্টা করছি।

তিনি বলেন, এ দেশের মানুষ খুব সচেতন। তারা জানে দেশে কোন দুর্ভিক্ষ নাই। খাদ্য শস্যের দাম বাড়ছে, মানুষের কষ্ট হচ্ছে, একথা আমরা বারবার বলছি। আমরা আপ্রাণ চেষ্টা করছি বিনামূল্যে খাদ্য দেওয়ার জন্য। কম মূল্যে খাদ্য দেওয়ার জন্য। দেশে খাদ্যের হাহাকার নাই, কোন সমস্যা নাই, কোন দুর্ভিক্ষ নাই। তবে মানুষের কিছু কষ্ট আছে। যারা গরিব মানুষ, নিম্নআয়ের মানুষ, রিকশা ও ভ্যানওয়ালা তাদের সমস্যা আছে। সেটা যতটা সম্ভব মোকাবিলা করার জন্য আমরা কাজ করছি। সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় ভিজিএফ দিয়ে, বিনামূল্যে খাদ্য দিয়ে আমরা যতটুকু সম্ভব সহযোগিতা করছি।

ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, যে কোন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের মৌলিক অধিকার আছে জাতীয় সমস্যা নিয়ে সমাবেশ, মিছিল ও আন্দোলন করার। কিন্তু আমাদের সংবিধানে সুস্পষ্ট বলা আছে মিছিল, মিটিং, সমাবেশ সুশৃঙ্খল হতে হবে এবং শান্তি বজায় রাখতে হবে। কোনক্রমেই মানুষের জীবন ও জানমালের উপর কোন হুমকি সৃষ্টি করা যাবে না। জীবনমানকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলা যাবে না। কিন্তু আমরা দেখছি বিএনপি ঠিকই সমাবেশ করছে। এই সমাবেশ থেকে পুলিশের ওপর আক্রমণ করছে। যখন পুলিশের ওপর আক্রমণ করে, তখন পুলিশ বাধ্য হয়ে তা নিভৃত করার। পুলিশ তাদের পদক্ষেপ গ্রহণ করে এবং মাঝে মধ্যে গুলি পর্যন্ত করে। আপনারা শান্তিপূর্ণভাবে মিটিং করেন, তাতে কেউ বাধা দেবে না।

কৃষিমন্ত্রী আরও বলেন, বিএনপি মিথ্যাচার করে দেশে একটা অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করতে চাচ্ছে। তারা ২০১৩ সালে আবার ফিরে যেতে চাচ্ছে। তারা নিবার্চনে যাবে না, গাড়িতে আগুন দিবে, বিদ্যুতের লাইন তুলে ফেলবে, ট্রেনে আগুন দিবে, জীবন্ত মানুষকে পুড়িয়ে মারবে। আমরা এটা করতে দিব না। এখনকার আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অনেক সক্ষম, অনেক সুশৃঙ্খল। আমাদের দায়িত্ব পুলিশকে সহযোগিতা করা। জনগণকে নিরাপত্তা দেওয়ার দায়িত্ব পুলিশের।

তিনি বলেন, আমরা সারা পৃথিবীর মতামতকে সম্মান করি। বিশ্বের সকল সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের আমরা সম্মান করি। কিন্তু তারা যেটা বলছে তত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার। কিন্তু তাদের একটা বিষয় মনে রাখতে হবে আমাদের সংবিধানে সুস্পষ্টভাবে লেখা আছে বাংলাদেশে আর কোন দিন তত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা হবে না। সুপ্রিম কোর্টের রায়েও রয়েছে তত্বাবধায়ক সরকারের আইনটা অবৈধ।

ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনের উদ্বোধন করেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফজলুর রহমান খান ফারুক। শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি সিরাজুল হক আলমগীর সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম এমপি, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক মেহের আফরোজ চুমকি এমপি, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য এবিএম রিয়াজুল কবির কাওছার, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জোয়াহেরুল ইসলাম জোয়াহের এমপি, ছানোয়ার হোসেন এমপি, তানভীর হাসান ছোট মনির এমপি, কেন্দ্রীয় যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মামুনুর রশিদ মামুন, শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ রৌফ প্রমুখ। এ সময় জেলা আওয়ামী লীগ ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতাকমীরা উপস্থিত ছিলেন।

এ সম্পর্কিত আরও খবর