বিএনপি স্বেচ্ছায় আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে না চাইলে তাতে আওয়ামী লীগ ‘জোর করবে না’ বলে জানিয়েছেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
রোববার (২৬ ফেব্রুয়ারি) কেরানীগঞ্জের ঘাটারচরে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত শান্তি সমাবেশে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এ কথা বলেন তিনি।
নির্বাচনে বিএনপি আসা, না আসা প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘নির্বাচনে আপনারা না আসলে আমরা জোর করে আনতে যাবো না।’
এ সময় বিএনপির আন্দোলন বাস্তবে ভুয়া মন্তব্য করে তিনি বলেন, কি হলো ১০ দফা, কি হলো এতো দলীয় জোটের?
বিএনপি সরকারের বিরুদ্ধে জোট ভাঙার চেষ্টার যে অভিযোগ এনেছেন সে প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘ফখরুল সাহেব আপনাদের দল বা জোট কোনটাই ভাঙবো না আমরা। আপনাদের জোট তাসের ঘরের মতো আপনারাই ভেঙে দেবেন। এই জোট বাংলাদেশে টিকবে না টিকতে পারে না।’
বিএনপি আন্দোলন এখন খড়ার কবলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, বিএনপি অসুস্থ হয়ে অচিরেই হাসপাতালে যাবে। নির্বাচনে না গেলে আইসিইউতে যাবে। মির্জা ফখরুল আবার লাফাতে শুরু করেছে। জনগণ নাই, ঢাল তলোয়ার নেই, নিধিরাম সরকার। আন্দোলন চলে না। নির্বাচনে আসবেন না ভালো কথা, সংবিধান আছে; নির্বাচন সংবিধান অনুযায়ী হবে। ’১৪ সালে আপনারা আসেননি বয়কট করেছেন, নির্বাচন কি হয়নি? হয়েছে। কি দিয়ে নির্বাচন প্রতিরোধ করবেন। আগুন সন্ত্রাস? যে হাতে আগুন নিয়ে আসবেন সেই হাত আমরা পুড়িয়ে দেবো। ভোটকেন্ত্র বাঙতে আসবে হাত ভেঙে দেবো।
এ সময় দলের নেতাকর্মীদের প্রস্তুতি নেয়ার আহ্বান জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ওদের মতিগতি খারাপ। এজন্য উল্টাপাল্টা কথা বলতে শুরু করেছে। তাদের আন্দোলনের গতি যতো কমছে অভিযোগ ততো বাড়ছে। পাবলিক নাই, নেতাকর্মীও কমছে। যাদের ফখরুল সাহেব ক্ষমতার স্বপ্ন দেখিয়েছেন, যে স্বপ্ন দেখিয়ে হাড়ি-পাতিল-কম্বল নিয়ে সভা সমাবেশস্থলে ৭দিন আগে থেকে হাজির। কেউ লাল কার্ড, কেউ হলুদ কার্ড দেখায়। কেউ বলে ১০ তারিখে দেশ চলবে খালেদা জিয়ার কথায়, কেউ বলে ১১তারিখে এয়ারপোর্টে ছুটে যেতে সেদিন নাকি বিদেশে পালিয়ে যাওয়া তারেক রহমান ফিরে আসবে। এ দলও ক্ষমতা ফিরে পেতে যায়! এ দেশে হারানো ক্ষমতা ফিরে যাওয়া কঠিন।
নির্বাচন ঠেকাতে বিএনপি ষড়যন্ত্র করছে দাবি করে তিনি বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামকে নিয়ে আবার চক্রান্ত হচ্ছে। রোহিঙ্গা শিবিরে গোলমাল পাকানোর চক্রান্ত। এসব আমরা জানি। এসব করে শেখ হাসিনাকে হটাবেন ক্ষমতার মঞ্চ থেকে?
সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগ সভাপতিমন্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া প্রমুখ।