দুর্নীতির আশ্রয়-প্রশ্রয়দাতাদেরও বিচার করতে হবে: ১২ দলীয় জোট



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

শুধু কয়েকজন ব্যক্তি ও কর্মকর্তাদের দুর্নীতির বিচার করলে হবে না বরং যারা দুর্নীতিবাজদের আশ্রয়-প্রশ্রয় ও মদদ দেন তাদেরও বিচার করতে হবে।

শ‌নিবার (২৫ মে জাতীয়) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ১২ দলীয় জোটের উদ্যোগে ‘সীমাহীন লুটতরাজ, দুঃশাসন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, মূল্যস্ফীতি ও আর্থিক অনিয়মের প্রতিবাদ’ শীর্ষক এক বিক্ষোভ সমাবেশে নেতৃবৃ‌ন্দরা এসব কথা বলেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে সাবেক মন্ত্রী এবং জাতীয় পার্টির (জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার বলেন, অতি সম্প্রতি দেশে অনেক ঘটনা ঘটেছে। সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ ও সাবেক পুলিশ প্রধান বেনজীরের অন্যায়-দুর্নীতির ঘটনা সবাই জানেন। কিন্তু আমার প্রশ্ন শুধু তাদের বিচার করলে হবে না। তাদেরকে যারা আশ্রয়-প্রশ্রয় দেয় তাদেরও বিচার করতে হবে। সেজন্য সবাইকে রাজপথে নামতে হবে। ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে এই সরকারের পতন ঘটানো সম্ভব। আমি বিশ্বাস করি আমাদের আন্দোলন সফল হবে ইনশাআল্লাহ।

১২ দলীয় জোটের মুখপাত্র ও বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম বলেন, দ্রব্যমূল্যের কষাঘাতে দেশের মানুষ অতিষ্ঠ ও অসহায়। তারা এই ফ্যাসিস্ট সরকারের হাত থেকে রক্ষা পেতে চায়। আমরা জনগণকে সঙ্গে নিয়ে এই সরকারের পতন ঘটানোর লক্ষ্যে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছি। কোনো দেশের তাবেদারি মেনে নেওয়া হবে না। দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য আওয়ামী লীগ সরকারের অবিলম্বে পদত্যাগ দাবি করছি।

বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান ও ১২ দলীয় জোটের সমন্বয়ক সৈয়দ এহসানুল হুদা বলেন, আজকে বাংলাদেশ ডুবন্ত নৌকায় আসিন। চারিদিকে হাহাকার। আজকে আমাদের গর্বের প্রতিষ্ঠান সেনাবাহিনীকে পঙ্গু করা হচ্ছে। বাহিনীর সাবেক প্রধান আজিজ দুর্নীতির দায়ে মার্কিন নিষেধাজ্ঞায় পড়েছেন। পুলিশের সাবেক আইজি বেনজীরের দুর্নীতির মাধ্যমে সম্পদের পাহাড় গড়েছেন। মাদক ব্যবসায়ীরা সংসদ সদস্য হচ্ছেন। তাদের দুর্নীতির দায় তো সরকারের ওপর বর্তায়।

তিনি বলেন, আজকে দশ শতাংশের বেশি মূল্যস্ফীতি। ডলার ও রিজার্ভ সংকটের কারণে এটি হয়েছে। এর মধ্যেই রিজার্ভ চুরি হয়েছে। ফলে বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। আমরা ফ্যাসিস্ট ও ভোট ডাকাত আওয়ামী লীগ সরকারের পতন এবং গণতন্ত্র ও জনগণের ভোটাধিকার পুনরুদ্ধার করতে চাই। একইসঙ্গে প্রতিবেশী দেশের ভেজাল পণ্য বয়কট এবং চলমান আন্দোলনে সকলকে শরিক হওয়ার আহ্বান জানান এহসানুল হুদা।

১২ দলীয় জোটের মুখপাত্র ও বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিমের সভাপতিত্বে এবং বাংলাদেশ এলডিপির অতিরিক্ত মহাসচিব তমিজ উদ্দিন টিটুর সঞ্চালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন , জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব মুফতি গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য নবাব আব্বাস আলী খান, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান শামসুদ্দিন পারভেজ, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন প্রধান প্রমুখ।

   

‘খালেদা জিয়া গুরুতর অসুস্থ, যেকোনো সময় জীবনহানি হতে পারে’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া গুরুতর অসুস্থ জানিয়ে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, যেকোনো সময় বেগম খালেদা জিয়ার জীবনহানি হতে পারে।

বুধবার (২৬ জুন) দুপুরে খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে দলের কর্মসূচি ঘোষণা শেষে তিনি একথা বলেন।

;

কী থাকছে বিএনপির বুধবারের কর্মসূচিতে



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
ছবি: বিএনপির লোগো

ছবি: বিএনপির লোগো

  • Font increase
  • Font Decrease

বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির আইনী লড়াইয়ে পরাজিত বিএনপি রাজপথ বেছে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। বিক্ষোভ মিছিল, প্রতিবাদ সমাবেশের কর্মসূচি দিতে যাচ্ছে বলে জানা গেছে।

বুধবার (২৬ জুন) নতুন কর্মসূচী ঘোষণা করবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি। এ উপলক্ষে বুধবার বেলা ১২টায় রাজধানীর নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে যৌথসভা ডাকা হয়েছে। ২৫ জুন সাংবাদিক সম্মেলনে রাজপথ বেছে নেওয়ার ঘোষণা দিলেও কর্মসূচির বিষয়ে মুখ খোলেন নি বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। কী থাকছে বিএনপির কর্মসূচিতে জানতে জনগণের আগ্রহের কমতি নেই।

বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বার্তা২৪.কমকে জানান, জনসাধারণের কষ্ট হয় এমন কর্মসূচি দেবে না বিএনপি। কারণ আমাদের চেয়ে যারা খালেদা জিয়ার কষ্টে বেশি যন্ত্রণায় রয়েছে তাদের দুর্ভোগ বাড়াতে চাই না। আমাদের মূল বিবেচ্য হবে জনগণের যাতে দুর্ভোগ না হয়। এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, প্রতিবাদ ও বিক্ষোভের মতো কর্মসূচি থাকতে পারে।

বিএনপির বিভিন্ন স্তরের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বিএনপির বড় কর্মসূচি দিলে সমাবেশ দিতে পারে। আর ছোট কর্মসূচির মধ্যে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন ও প্রতিকী অনশন থাকতে পারে। ঢাকার বাইরে জেলা পর‌্যায়েও কর্মসূচি থাকতে পারে। অতীতে দোয়ার কর্মসূচি পালন করার নজীর রয়েছে।

ওই নেতারা বলেছেন, বড় ধরণের কর্মসূচি সফল করার মতো অবস্থানে নেই বিএনপি। কারণে মহানগর বিএনপির কমিটি নেই, যুবদলের কমিটি নেই। কাদের মাধ্যমে কর্মসূচি সফল করবে। বিএনপির বিষয়টি ভালো করেই জানে।

বিএনপির অপর একটি সূত্র জানিয়েছে, খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার দাবীর পাশাপাশি সময় সাময়িক ইস্যুতে কাজে লাগানোর পরিকল্পনা রয়েছে। এরমধ্যে প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর, ট্রানজিট ইস্যু, সীমান্ত হত্যা, নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি, কারাবন্দি নেতাকর্মীদের মুক্তির বিষয়টি থাকতে পারে। আর সরকারের পদত্যাগের এক দফা আবশ্যিকভাবে যুক্ত থাকতে পারে।

বিএনপির সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণী ফোরাম স্থায়ী কমিটির বৈঠকে রাজপথ বেছে নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। এরপর ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের সঙ্গে আলোচনার করার দায়িত্ব দেওয়া হয় মহাসচিবকে। গত ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর এটি হবে বিএনপির চতুর্থ দফা রাজপথ কর্মসূচি।

খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন জটিল রোগে ভুগছেন জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, চিকিৎসকেরা তার উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর সুপারিশ করেছেন। দলের পক্ষ থেকে তাকে মুক্তি দিয়ে বিদেশে পাঠানোর দাবি জানানো হয়েছে। এমন কী পরিবারের পক্ষ থেকে দুই বার তার বিদেশে চিকিৎসার অনুমতি চাওয়া হয়েছে। কিন্তু অবৈধ সরকার তাদের ক্ষমতাকে চিরস্থায়ী করতে তাকে হত্যার উদ্দেশে উন্নত চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত করেছে। অনতিবিলম্বে খালেদা জিয়াকে নিঃশর্ত মুক্তি দাবি জানাচ্ছি।

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ঢাকার একটি বিশেষ আদালতে পাঁচ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হওয়ার পর ২০১৭ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি কারাগারে যান খালেদা জিয়া। পরের বছর ২০২১ সালের ৩০ অক্টোবর হাইকোর্ট এই মামলায় তার আপিল খারিজ করে দেওয়ার পর তার শাস্তি বাড়িয়ে ১০ বছর করে দেয়। এর আগে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ২০১৮ সালের ২৯ অক্টোবর ঢাকার আরেকটি বিশেষ আদালত সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীকে দোষী সাব্যস্ত করে। তখন তাকে সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়।

করোনা মহামারির সময় ২০২০ সালের ২৫ মার্চ সরকার ফৌজদারি কার্যবিধির (সিআরপিসি) ৪০১ (১) ধারা অনুযায়ী কারাদণ্ড স্থগিত করে বিএনপি প্রধানকে মুক্তি দেয়।

মানবিক কারণে সরকার প্রধানের নির্বাহী আদেশে তিনি বাইরে আছেন। সেই একই কারণে বিদেশের পাঠানো কোনো সুযোগ আছে কি না জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী গণমাধ্যমকর্মীদের বলেন, 'যা-ই করতে হবে আইনের মাধ্যমে করতে হবে। যে আইনে তাকে বের করা হয়েছে, তাতে (বিদেশে যাওয়ার) সুযোগ নেই।'

২০০৯ সালের জানুয়ারিতে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতাসীন হওয়ার দেড় বছর পর ২০১০ সালের ২৭ জুন প্রথম হরতাল ডাকে বিএনপি। এরপর খালেদা জিয়ার মামলা প্রত্যাহার, তারেক জিয়ার মামলা প্রত্যাহার ও খালেদা জিয়াকে বাড়ি থেকে উচ্ছেদের প্রতিবাদে একাধিক দফায় হরতাল পালন করে বিএনপি। অন্যদিকে ২০১৫ সালে অনির্দিষ্টকালের জন্য অবরোধ কর্মসূচির ঘোষণা দেন বিএনপি। জ্বালাও পোড়াওয়ের মধ্যে দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে চলে সেই কর্মসূচি। আনুষ্ঠানিকভাবে এখনও ওই অবরোধ প্রত্যাহার করেনি বাংলাদেশের অন্যতম রাজনৈতিক দল বিএনপি। ওই কর্মসূচি নিয়ে অনেক হাস্যরস ও ট্রল করা হয় এখনও।

;

খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় বরিশালে যুবদলের দোয়া



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বরিশাল
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় বরিশাল দক্ষিণ জেলা যুবদলের আয়োজনে দোয়া মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়েছে।


মঙ্গলবার (২৫ জুন) যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আলহাজ্ব মামুন রেজা খানের সভাপতিত্বে দোয়া মোনাজাত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন বরিশাল দক্ষিণ জেলা বিএনপি সদস্য সচিব সাবেক ছাত্র নেতা এ্যাড, আবুল কালাম শাহিন।

এসময় আরো বক্তব্য রাখেন, বরিশাল বিভাগীয় যুবদলের সাধারণ সম্পাদক এ্যাড, এইচ এম তছলিম উদ্দিন। এসময় উপস্থিত ছিলেন যুবদলের সহ সভাপতি সালাউদ্দিন নাহিদ, সাংগঠনিক সম্পাদক এ্যাড, হাফিজ আহমেদ বাবলু, মহানগর যুবদল ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক মাসুদুর রহমান মাসুদ, যুগ্ম সম্পাদক আশ্রাফুল ইসলাম মাহফুজ, যুগ্ম সম্পাদক উলফৎ রানা রুবেল, রফিকুল ইসলাম রুহুল, দপ্তর সম্পাদক শাহাবুদ্দিন হাওলাদার সহ জেলা ও বিভিন্ন উপজেলার আহবায়ক, সদস্য সচিব সহ বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ।

;

খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে কর্মসূচিতে যাচ্ছে বিএনপি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে কর্মসূচিতে যাচ্ছে বিএনপি। বুধবার এ কর্মসূচি ঘোষণা করা হতে পাবে। তবে কী ধরণের কর্মসূচি দেওয়া হবে তা এখনও জানানো হয়নি।

মঙ্গলবার (২৫ জুন) রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠকে খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে আন্দোলন গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত হয়েছে। সেই লক্ষে প্রয়োজনীয় কর্মসূচি প্রণয়নের সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

তিনি আরও বলেন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার অবদান, সংগ্রাম ও আত্মত্যাগ সাম্প্রতিক গণতান্ত্রিক বিশ্বে অতুলনীয়। খালেদা জিয়াকে পরিকল্পিতভাবে মিথ্যা মামলায় সাজা প্রদান করে রাজনীতি থেকে দূরে সরিয়ে দেওয়ার লক্ষে এই হীন চক্রান্ত করছে অবৈধ সরকার। শুধু রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে তাকে বন্দি করে রাখা হয়েছে, যা সম্পূর্ণ বেআইনি এবং সংবিধানবিরোধী। এই মামলায় জামিন পাওয়া তার সাংবিধানিক অধিকার।

খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন জটিল রোগে ভুগছেন জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, চিকিৎসকেরা তার উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর সুপারিশ করেছেন। দলের পক্ষ থেকে তাকে মুক্তি দিয়ে বিদেশে পাঠানোর দাবি জানানো হয়েছে। এমন কী পরিবারের পক্ষ থেকে দুই বার তার বিদেশে চিকিৎসার অনুমতি চাওয়া হয়েছে। কিন্তু অবৈধ সরকার তাদের ক্ষমতাকে চিরস্থায়ী করতে তাকে হত্যার উদ্দেশে উন্নত চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত করেছে। অনতিবিলম্বে খালেদা জিয়াকে নিঃশর্ত মুক্তি দাবি জানাচ্ছি।

হঠাৎ অসুস্থতা বেড়ে গেলে শুক্রবার (২১ জুন) গভীর রাতে বিএনপি চেয়ারপারসনকে অ্যাম্বুলেন্সে করে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রোববার (২৩ জুন) বেগম খালেদা জিয়ার হৃৎপিণ্ডে পেসমেকার বসানো হয়েছে।

বর্তমানে হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের নিয়ে গঠিত মেডিকেল বোর্ডের অধীনে খালেদা জিয়া চিকিৎসাধীন আছেন। ওই গঠিত মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা শনি ও রোববার কয়েক দফা বৈঠকে বসে পেসমেকার লাগানোর সিদ্ধান্ত দেন।

লন্ডন থেকে খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জোবায়েদা রহমান এবং যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়ার কয়েকজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ভার্চুয়ালি মেডিকেল বোর্ডের এসব সভায় যুক্ত থাকেন।

৭৯ বছর বয়সী খালেদা জিয়া ডায়াবেটিস, আর্থারাইটিস ছাড়াও হৃদরোগ, ফুসফুস, লিভার, কিডনি, বিভিন্ন জটিল রোগে ভুগছেন। গত চার বছরে বেশ কয়েকবার তাকে হাসপাতালে ভর্তি থেকে চিকিৎসা নিতে হয়েছে।

;