নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানিয়ে ফেরার সময় ঢাকা-১৩ আসনের বিএনপি প্রার্থী আব্দুস সালামের সঙ্গে থাকা এক নেতাকে পুলিশ আটক করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বুধবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুরে মোহাম্মদপুর থানা বিএনপির সভাপতি ওসমান গণি শাজাহানকে পুলিম আগারগাঁওয়ের আইডিবি ভবনের সামনের এলাকা থেকে তুলে নিয়ে যায়। তবে শেরেবাংলা নগর থানা পুলিশ জানিয়েছে তারা এমন কোন ব্যক্তিকে আটক করেনি।
নিজ নির্বাচনী এলাকার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ধরপাকড়, অপতৎপরতাসহ বেশ কিছু অভিযোগ নিয়ে দুপুরে নির্বাচন কমিশনে যান আব্দুস সালাম। নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমেদের সঙ্গে দেখা করেন তিনি। দুপুর প্রায় দেড়টার দিকে ইসি থেকে বেরিয়ে গুলশান এলাকায় ফেরার পথে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে আইডিবি ভবনের সামনে থেকে ওসমান গণিকে আটক করে নিয়ে যায়। এমন ঘটনার পর আব্দুস সালাম আবার ইসি সচিবের কাছে আটকের বিষয়ে অভিযোগ জানান।
আব্দুস সালাম সাংবাদিকদের বলেন, ‘বিষয়টি মর্মান্তিক ও দুর্ভাগ্যজনক। নিজের কাছেই নিজেকে অপরাধী মনে হচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে কিভাবে নির্বাচন হবে?’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি ইসি সচিবকে জানিয়েছি আপনাদের কাছে অভিযোগ দেয়ার কিছুক্ষণ পরই কিভাবে আমার একজন কর্মী আটক হয়? এটা কি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অপতৎপরতা আরেকটা জ্বলন্ত প্রমাণ নয়? তার মানে কি, আমরা নির্বাচন কমিশনেও নিরাপদ না? আমরা কোথায় যাবো, আমরা কি নির্বাচন করবো না।’
আব্দুস সালাম বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন যদি অপরাগ হয় তাহলে আমাদের নির্বাচন না করতে বলে দিক এবং কমিশন কারো নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারবে না।
তিনি জানান, আটক ওসমান গণির বিরুদ্ধে কোন মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা নেই। সব মামলায় জামিন থাকা স্বত্তেও এভাবে আটক করে নিয়ে গেছে। এভাবে চলতে থাকলে নির্বাচন করা অসাধ্য। ধরপাকড়ের ভয়ে কর্মীদের নিয়ে ঠিকমত মাঠেই নামতে পারছেন না তিনি। এসব ঘটনার দ্রুত বিচার দাবি করেন বিএনপির এই প্রার্থী।
এসব অভিযোগের বিষয়ে ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমেদ আব্দুস সালামকে জানিয়েছেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে আলোচনা করে বিষয়টি দেখবেন।