জোট-মহাজোটের খেলায় জাতীয় পার্টির নিজস্ব কোনো অস্তিত্ব থাকবে কিনা, সেটা সময় বলে দেবে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও রংপুর সিটি করপোরেশনের (রসিক) মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা।
শনিবার (১৪ অক্টোবর) রাতে রংপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে একটি বেসরকারি টেলিভিশনের ‘জনতার দরবার’ নামক সরাসরি প্রচারিত অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।
মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা বলেন, জাতীয় পার্টির নিজস্ব কোনো অস্তিত্ব নেই। আমাদের দলের সংসদ সদস্য মনোনীত করার সিদ্ধান্তও আমরা ঠিকমতো নিতে পারি না। সে কারণে রংপুরের মানুষের যে প্রত্যাশা, যাকে মনোনয়ন দিলে সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করা যেত, সেই দিকটা তুলে ধরতে পারছি না।
এর আগে, রংপুর-৩ আসনের বর্তমান এমপি (রাহগির আল-মাহি সাদ এরশাদ) কিন্তু দলের প্রেসিডিয়ামদের সিদ্ধান্তে মনোনীত হননি। তার ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী সিদ্ধান্ত দিয়েছিলেন।
রসিক মেয়র মোস্তাফিজার রহমান বলেন, যারা বিনা ভোটে এমপি নির্বাচিত হন তারা মানুষের মূল্যায়ন করতে জানেন না। তা না হলে অবশ্যই সেই এমপি রংপুরের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তনের জন্য সংসদে কথা বলতো। মানুষের দাবি-দাওয়াগুলো তুলে ধরতে পারতো। কিন্তু আমরা সেটা দেখি না।
এক প্রশ্নের জবাবে মোস্তফা বলেন, জোট-মহাজোট করে জাতীয় পার্টি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এখন আমরা চাই নিজের পায়ে দাঁড়ানোর শক্তি নিয়ে এককভাবে নির্বাচনে অংশ নিতে।
বড় দুটি রাজনৈতিক দলের মুখোমুখি অবস্থা দেখে জনগণ শঙ্কিত। দুই দলের এক মেরুতে এসে সবার সঙ্গে আলোচনা করে একটা নির্বাচনী সরকার গঠন করা এবং সুষ্ঠু নির্বাচন করার পরিস্থিতি দেশে নেই বলেও জানান তিনি।
তিনি বলেন, ঢাকা-১৭ আসনে ভোট পড়েছে ১১ শতাংশ অথচ সেখানে আওয়ামী লীগের লোকজন রয়েছে ৪০-৬০ শতাংশ। এর মানে বোঝা যায়, আওয়ামী লীগের লোকজনও ভোট দিতে যায়নি।
সিটি মেয়র বলেন, রংপুর শহর একটি প্রাচীনতম শহর। এখানকার বেশিরভাগ রাস্তাঘাট সংকীর্ণ। পৌরসভা বিলুপ্ত করে রংপুর সিটি করপোরেশন প্রতিষ্ঠা কবার পর ৬৫ ফিট রাস্তা করতে দু’পাশের অবকাঠামো সরানো হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, রংপুর সিটি করপোরশেন এলাকায় একটি শিল্পকলকারখানাও নেই। আমাদের এখানকার বেকার মানুষগুলোর বিকল্প কর্মসংস্থানের সুযোগ নেই।
ওই অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় প্রচার ও প্রকাশনা উপ-কমিটির সদস্য রাশেক রহমান, রংপুর মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক সামসুজ্জামান সামু ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের রংপুর মহানগরের সেক্রেটারি আমিরুজ্জামান পিয়াল অংশ নেন।
অনুষ্ঠান চলাকালে রংপুরের বিভিন্ন শ্রেণি পেশার পাশাপাশি রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা চার দলের প্রতিনিধিদের কাছে বিভিন্ন প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন।