পুলিশ বাহিনী আক্ষরিক অর্থে শেখ হাসিনার লাঠিয়াল বাহিনী হিসেবে কাজ করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী।
বুধবার (২৫ অক্টোবর) বিকেল ৩ টায় বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন তিনি।
রিজভী বলেন, বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলের সমাবেশ, কর্মকাণ্ড, মত প্রকাশ পুলিশের ছাড়পত্রের ওপর নির্ভর করবে। বিএনপিসহ অন্যান্য বিরোধীদলের প্রতি অবৈধ প্রধানমন্ত্রী ও পুলিশের ক্রোধ এটাই প্রমাণ করে। তারা মনে করে আওয়ামী লীগ ছাড়া সরকারবিরোধী রাজনৈতিক দল দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিক, তাদের বোঝা।
আমরা ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কর্মকর্তাদের মুখ থেকে যে ধরনের বক্তব্য শুনছি তাতে মনে হচ্ছে তারা রাষ্ট্রের বাহিনী নয়, জনগণের প্রতিষ্ঠান নয়, শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত বাহিনীতে পরিণত হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, অবৈধ সরকারের ইন্ধনে পুলিশ কর্মকর্তাদের হুমকির মাত্রা তীব্র থেকে তীব্রকর হচ্ছে। আওয়ামী লীগের নেতা কর্তৃক হত্যার হুমকি, বিএনপির উপসংহারহীন পরিণতির ইঙ্গিত করা হচ্ছে। দেশে আইন, বিচারক, আদালত সব আছে কিন্তু বাস্তবে যা দেখা যাচ্ছে শেখ হাসিনাই যেন আইন।
এসময় রিজভী প্রশ্ন রেখে বলেন, পুলিশ প্রশাসন তো প্রজাতন্ত্রের বাহিনী, মালিক নয়। তারা কীভাবে ঠিক করে দিবে রাজনৈতিক দলের সভা সমাবেশ কোথায় হবে? বিএনপি একটি দায়িত্বশীল রাজনৈতিক দল, এই দলটি কি জানে না সভা-সমাবেশ কোথায় করতে হয়? পুলিশের হস্তক্ষেপ আর আওয়ামী লীগ নেতাদের বক্তব্য পরিকল্পিতভাবে বিএনপির মহা সমাবেশকে আতঙ্কের জায়গায় পরিণত করতে চাচ্ছে।
এসময় ঢাকার প্রবেশপথে র্যাবের তল্লাশি নামে মানুষকে হয়রানি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করে রিজভী বলেন, বিএনপির নেতা কর্মীদের বাড়িতে তল্লাশির নামে গ্রেফতার ও সাধারণ মানুষকে নাজেহাল করে তুলেছে।
সংবাদ সম্মেলনে দ্রুত এমন কার্যক্রম বন্ধের আহ্বান জানান রিজভী। এছাড়া গ্রেফতারকৃত সকল নেতা কর্মীকে দ্রুত মুক্তির দাবি জানান তিনি।