আমাদের টার্গেট নতুন ভোটার। কাজেই সেটা চিন্তা করে টার্গেট করুন, তাদের (নতুন ভোটারদের) কিভাবে ভোটে আনবেন বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
রোববার (১৯ নভেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের নির্বাচন পরিচালনা, প্রচার ও প্রকাশনা উপকমিটির প্রস্তুতিমূলক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, নতুন ভোটারদের কথা মাথায় রেখে আগামী নির্বাচনের প্রচার প্রচারণা চালাবেন। কিভাবে অপপ্রচারের বিপক্ষে পজিটিভ সাজাবেন।নতুন মডেলে করবে সেটাই হলো আমার পরামর্শ। বদলে যাওয়া বাংলাদেশের গল্প কত সুন্দরভাবে, কত সহজে সাধারণ মানুষের সঙ্গে উদযাপন করবেন সেটা চিন্তা করবেন।প্রচার প্রচারণার জন্য সময় একেবারেই কম। যাদের যে দায়িত্ব দিলে কাজ হবে, তাদের সে কাজ দিতে হবে।
তিনি বলেন, আমাদের নির্বাচনী প্রচারণার মূল স্লোগান হবে, ‘নাশকতার কালো হাত ভেঙে দাও, গুড়িয়ে দাও’। আমাদের চোরাগুপ্ত হামলা প্রতিহত করতে হবে। সারা বাংলাদেশের মানুষ নির্বাচন চায়। নির্বাচনের পক্ষে সারা দেশে গণজোয়ার। এই সময়ে চোরাগুপ্তা হামলা, টেমস নদীর ওপার থেকে স্কাইপেতে অবৈধ বক্তব্যও দেওয়া হচ্ছে। এসব নিয়ে হঠাৎ হঠাৎ গুহা থেকে বের হয় একটা প্যাথলজিক্যাল লায়ার। এসেই যা খুশি বলা- 'সরকার পতন সময়ের ব্যাপার'! এই করতে করতে ২৮ তারিখ চলে গেছে। এখন অপেক্ষা করতে হবে আগামী বছরের ২৮ তারিখের জন্য।
নির্বাচনকালীন সরকারের বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, নির্বাচনকালীন সরকার হিসেবে যে সরকার আছে এই সরকারই থেকে যাবে।গতবারও এটাই হয়েছে। তবে এখানে টেকনোক্রেট মন্ত্রী থাকতে পারবে না, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টারাও থাকতে পারবেন না। এই পদবিগুলোতে যারা আছেন, তারা অটোমেটিক বাদ হয়ে যাবে।
রওশন এরশাদের নির্বাচন পেছানোর আহ্বানের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, রওশন এরশাদকে বলুন নির্বাচন কমিশনারের কাছে আবেদন করতে, এটা আমাদের এখতিয়ার বহির্ভূত।
সভায় তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, এমন একটি সময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে, যখন একটি শ্রেণি এটি নিয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে প্রতিদিন গাড়ি পোড়াচ্ছে, নির্বাচন নিয়ে ধুম্রজাল তৈরি করার চেষ্টা করছে। তবে এই সমস্ত কিছুকে ছাপিয়ে মানুষের মধ্যে উৎসাহ উদ্দীপনা সৃষ্টি হয়েছে এবং একটি নির্বাচনী আমেজ তৈরী হয়েছে।
এ সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রচার ও প্রকাশনা উপকমিটির আহ্বায়ক ড. কামাল আবু নাসের চৌধুরী। এসময় দলের অন্যান্য নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।