সচিবালয়ে আগুনের ঘটনার পেছনে ষড়যন্ত্র রয়েছে: জামাল হায়দার
সচিবালয়ের আগুনের ঘটনা কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, এর পেছনে ষড়যন্ত্র রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ১২ দলীয় জোটের জোট প্রধান মোস্তফা জামাল হায়দার।
বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) ১২ দলীয় জোট কর্তৃক দেশ বিরোধী অপতৎপরতা, সাবেক কাউন্সিলরদের পুনর্বাসনের ষড়যন্ত্র ও নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম কমানোর দাবিতে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মোস্তফা জামাল হায়দার বলেন, আমাদের ছাত্র সমাজ, রাজনৈতিক সমাজ আজ দ্বিধাদ্বন্দ্বে ভুগছে। সময় এসেছে, জুলাইয়ের চাইতেও কঠিন ও শক্তিশালী জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলা। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বলতে চাই, আমরা আপনাদের শত্রু নই। কিন্তু আপনারা যদি জনগণের পালস বুঝতে ব্যর্থ হন, তাহলে ভয়াবহ পরিণতি অপেক্ষা করছে।
তিনি আরো বলেন, আমাদের সংগ্রামী চেতনার কোথায় যেন চিড় ধরেছে, বিভ্রান্তি তৈরি করার অপচেষ্টা চলছে। শেখ হাসিনার পতনের পর যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার তৈরি হয়েছে, সে সরকারকে আমরা দুই হাত তুলে আশীর্বাদ করেছিলাম। এখনো তাদের প্রতি আমাদের আস্থা রয়েছে।কিন্তু সে সরকার এখন একের পর এক ভুল করে চলেছে। আর তাদের এই ভুল জাতীয় ঐক্যে ফাটল তৈরি করছে।
তিনি বলেন, জুলাই অভ্যুত্থান পরবর্তী যে জাতীয় ঐক্য সৃষ্টি হয়েছে, তা যদি আমরা ধরে রাখতে না পারি, তাহলে জাতীয় ঐক্য বিরোধী শত্রুরাই সবচাইতে বেশি খুশি হবে।
মোস্তাফা জামাল হায়দার বলেন, দেশের বর্ডারের চারপাশে যে উদ্ভূত পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তাকে উপেক্ষা করা সম্ভব না। পার্বত্য চট্টগ্রামে যে অস্থিরতা সৃষ্টি করার চেষ্টা চলছে, তাকে মোকাবেলা করার জন্য আরো সুদৃঢ় ঐক্য তৈরি করতে হবে।
বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা বলেন, গতকাল পরিকল্পিতভাবে দুর্নীতির নথি ধ্বংস করার জন্য সচিবালয়ে আগুন লাগানো হয়েছে। যারা এটি করেছে তাদেরকে শাস্তির আওতায় নিয়ে আসতে হবে।
বক্তারা আরও বলেন, ২৫ সালের জুনের মধ্যে নির্বাচন দিতে হবে। নির্বাচনে যারা জয়ী হবে আমরা তাদেরকে অভিনন্দন জানাবো। আওয়ামী লীগকে আর পুনর্বাসন করা যাবে না।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উদ্দেশ্য বক্তারা বলেন, আমাদের ধৈর্যের পরীক্ষা নিয়েন না। রাজপথে নামতে বাধ্য করবে না। অতিশীঘ্রই রোডম্যাপ দিন। সংস্কারের নাম করে নির্বাচনকে বিপরীতে নিতে পারবেন না।
সভাপতির বক্তব্যে ১২ দলীয় জোটের মুখপাত্র এবং বাংলাদেশ এলডিপি'র চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন সেলিম বলেন, আপনারা (অন্তর্বর্তী সরকার) ২৫ সালের জুনের মধ্যে নির্বাচন দিন। আমরা আশা করবো, নববর্ষের দিন বক্তব্য দেওয়ার সময় ড. ইউনূস নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণা করবেন।