বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ ও জাতীয় পার্টি (জাপা) থেকে বহিষ্কৃত নেতা রংপুর-১ (গঙ্গাচড়া) আসনের সংসদ সদস্য মসিউর রহমান রাঙা এবার দলীয় মনোনয়ন পাননি। সেখানে দেওয়া হয়েছে জি এম কাদেরের ভাতিজা ও সাবেক এমপি হোসেন মকবুল শাহরিয়ারকে (আসিফ)।
সোমবার (২৭ নভেম্বর) বিকেল ৫টা ৪০ মিনিটে রাজধানীর বনানীর জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান কার্যালয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন দলটির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু।
এসময় এক প্রশ্নের জবাবে দলটির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, তিনি (রাঙা) দলের বহিষ্কৃত নেতা। এ কারণে তাকে মনোনয়ন দেওয়ার প্রশ্নই উঠে না।
এর আগে, এদিন দুপুরে বার্তা২৪.কমকে রাঙা বলেছিলেন তিন আশাবাদী দলীয় মনোনয়ন সংগ্রহ না করলেও চূড়ান্ত তালিকায় তার নাম থাকবে। যদি তাকে মনোনয়ন দেওয়া না হয় তা হলে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিবেন।
স্থানীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তারা অনেকটাই নিশ্চিত ছিলেন রাঙা দলীয় মনোনয়ন পাচ্ছেন না। তিনি এখন কি করবেন তা নিয়ে এলাকায় নানা গুঞ্জন দেখা দিয়েছে। অনেকে মনে করছেন দলীয় মনোনয়ন না পেলেও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করবেন।
রওশন এরশাদ রাঙাসহ ১২ জনের মনোনয়ন চেয়েছিলেন বলে বিভিন্ন গণমাধ্যম থেকে জানাগেছে। কিন্তু বাস্তবে তেমন কিছু দেখা যায়নি।
যেহেতু রংপুর-১ আসনে জি এম কাদেরের ভাতিজা ও সাবেক এমপি হোসেন মকবুল শাহরিয়ারকে (আসিফ) মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। একারণে রাঙা স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন তার ঘনিষ্ঠরা।
স্থানীয় নেতাকর্মীরা জানান, জাতীয় পার্টির দখলে থাকা এই আসনে লাঙল প্রতীকই বড় কথা। অন্য প্রতীকে প্রার্থী হয়ে এখানে জয়ী হওয়া কঠিন। রাঙার জন্য এটি কঠিন পরিস্থিতি বলে মনে করছেন কেউ কেউ। গত বছর রওশন-কাদের দ্বন্দ্বে জড়িয়ে সংসদে বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদের পক্ষ নেন জাপার প্রেসিডিয়াম সদস্য মসিউর রহমান রাঙা। এর জের ধরে গত বছরের ১8 সেপ্টেম্বর তাকে দলের সব পদ থেকে অব্যাহতি দেন পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের। এরপর রওশনপন্থি নেতা হিসেবে পরিচিতি পান রাঙা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত দুই কূল (রওশন ও জিএম কাদের) হারিয়ে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার প্রস্তুতি নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
জাতীয় পার্টি ৩০০ আসনের মধ্যে ২৮৯ প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেন। বাকি ১১টি আসনে প্রার্থীর নাম পরে ঘোষণা করা হবে বলে জানান চুন্নু।