জাসদের সঙ্গে ইইউ প্রতিনিধি দলের বৈঠক

বিবিধ, রাজনীতি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2023-12-09 20:57:00

ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) নির্বাচন–বিশেষজ্ঞ প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক করেছে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদ।

শনিবার (৯ ডিসেম্বর) দুপুরে সংসদ সদস্য ভবন কমপ্লেক্সে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে দেড় ঘণ্টাব্যাপী আলোচনা হয়। এসময় ইইউ প্রতিনিধি দল দেশের সংবিধান, নির্বাচনী আইন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পরিস্থিতি, জাসদের দলীয় ইতিহাস, অবস্থান ও ভূমিকা, ১৪ দলীয় নির্বাচন জোট ইত্যাদি বিষয়ে জানতে চান।

তাদের প্রশ্নের জবাবে হাসানুল হক ইনু বলেন, বাংলাদেশ সংবিধান ও আইন অনুযায়ী পরিচালিত একটি প্রজাতন্ত্র। দেশের কোনো ব্যক্তিই সংবিধান ও আইনের ঊর্ধ্বে নন। দেশের বিচার বিভাগ অত্যন্ত শক্তিশালী ও স্বাধীন। সরকার বা নির্বাহী বিভাগ দ্বারা কোনো ব্যক্তি ক্ষতিগ্রস্থ হলে তার প্রতিকার পাবার জন্য আইনের আশ্রয় নেওয়ার অধিকার সুসংরক্ষিত। প্রায়শই নির্বাহী বিভাগ দ্বারা ক্ষতিগ্রস্থ ব্যক্তি প্রতিকার পাবার জন্য আদালতে প্রার্থনা করেন এবং আদালত নির্বাহী বিভাগের বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রমাণ পেলে নির্বাহী বিভাগের বিরুদ্ধে রায় দিয়ে থাকেন।

তিনি বলেন, বিএনপি-জামাতের যারা গ্রেফতার হয়েছে বা যারা বিচারিক প্রক্রিয়ায় দণ্ডিত হয়েছেন, তারা রাজনৈতিক কর্মী হলেও সর্বজনীন গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক প্রক্রিয়া, চর্চা, অনুশীলন, সংস্কৃতির বাইরে গিয়ে সন্ত্রাসবাদী তৎপরতায় যুক্ত হয়েছিলেন। তাদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদী কর্মকাণ্ডের সুনির্দিষ্ট প্রমাণের ভিত্তিতে আদালত দণ্ডাদেশ প্রদান করেছে। তারপরও তাদের নিম্ন আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করার অধিকার সুসংরক্ষিত আছে।

তিনি আরও বলেন, দুর্ভাগ্যজনক হলেও এটা সত্য যে, বিএনপি ও জামায়াত স্বাভাবিক গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক পথ পরিহার করে সম্পূর্ণ সন্ত্রাসবাদী রাজনৈতিক শক্তিতে পরিণত হয়েছে। জামায়াত সস্বীকৃত এবং উচ্চ আদালতে প্রামাণীত যুদ্ধাপরাধী দল। দেশের সংবিধান ও আইন অনুযায়ী যুদ্ধাপরাধী ও যুদ্ধাপরাধীদের দলের রাজনীতি ও দল করার অধিকার নাই।

জাসদের সভাপতি বলেন, সংবিধান অনুযায়ী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে, বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন দেশের সংবিধান প্রদত্ত ক্ষমতা ও এখতিয়ারের ভিত্তিতে স্বাধীনভাবে অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে নির্বাচন অনুষ্ঠানের পথে এগিয়ে যাচ্ছে। সরকার ও নির্বাহী বিভাগ সংবিধান ও আইন অনুযায়ী নির্বাচন কমিশনের চাহিদা অনুযায়ী নির্বাচন কমিশনকে সহযোগিতা প্রদান করে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, বিএনপি নির্বাচন বর্জন ও প্রতিহত করার সন্ত্রাসবাদী রাজনীতির পথ পরিহার করে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলে নির্বাচন আরও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হতো। নির্বাচন যত প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হয় ততই নির্বাচন সৌন্দর্যমন্ডিত হয়।

এসময় জাসদের পক্ষে আরও উপস্থিত ছিলেন, সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার ও কার্যকরী সভাপতি রবিউল আলম।

ইইউ ইলেকশন এক্সপার্ট কমিশনের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন তাদের রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ মি. আলেক্সান্ডার ম্যাটুস, লিগ্যাল/হিউম্যান রাইটস বিশেষজ্ঞ মিজ্ রেবেকা কক্স।

এ সম্পর্কিত আরও খবর