বাংলাদেশ কংগ্রেসের ১২১ প্রার্থীর মনোনয়ন প্রত্যাহার যেকোনো সময়

বিবিধ, রাজনীতি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2023-12-16 13:54:01

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন সম্মিলিত মহাজোট মনোনীত ১২১ বৈধ প্রার্থী যেকোনো মুহুর্তে তাদের মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিতে পারেন বলে জানিয়েছেন দলের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট কাজী রেজাউল হোসেন।

তিনি বলেন, আমরা কারো ক্ষমতার সিঁড়ি হতে নির্বাচনে আসিনি বা কাউকে বৈধতা দেওয়ার লিজ নেইনি। আমরা শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে থাকলে আমাদের মাধ্যমেই তাদের বৈধতা হাসিল হবে। তাই বর্তমান পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ কংগ্রেসের শতাধিক প্রার্থীর নির্বাচন থেকে সরে আসা ছাড়া কোন বিকল্প নেই।

শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত জরুরি সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

লিখিত বক্তব্যে অ্যাডভোকেট কাজী রেজাউল হোসেন বলেন, সরকার তার ক্ষমতাকে আরও দীর্ঘায়িত করতে বানরের রুটি ভাগের মতো যেভাবে সংসদের আসন ভাগাভাগি করছে তাতে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না বলে আমরা আশঙ্কা করছি। আমরা এই ভাগাভাগির মধ্যে নেই। আমরা চাই সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন। কিন্তু বর্তমান প্রেক্ষাপটে দেখা যাচ্ছে প্রতিশ্রুত পরিবেশ না পেলে বাংলাদেশ কংগ্রেসের শতাধিক প্রার্থীর নির্বাচন থেকে সরে আসা ছাড়া কোন বিকল্প থাকবে না। তাই জাতির বৃহত্তর স্বার্থে আমরা যেকোনো মুহূর্তে আমাদের সময়োপোযোগী সিদ্ধান্ত আপনাদের মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হবে।

সম্মিলিত মহাজোট প্রধান বলেন, বাংলাদেশ কংগ্রেস মূলত একটি নির্বাচনমুখী দল বলেই মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলাম। আমরা আমাদের জান মাল, ঘর-বাড়ি, ব্যবসা বাণিজ্যকে হুমকির মুখে ঠেলে দিয়েও শুধুমাত্র একটি গণমুখী দল বলেই নির্বাচনে এসেছি। বিশেষ করে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর মিটিয়ে সুষ্ঠু নির্বাচনের আশ্বাসে আমরাও একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের প্রত্যাশা করেছিলাম। আমরা মনে করেছিলাম নির্বাচনকালীন সময়ে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড বজায় থাকবে।

তিনি বলেন, আমরা কারো ক্ষমতার সিঁড়ি হতে নির্বাচনে আসিনি বা কাউকে বৈধতা দেওয়ার লিজ নেইনি। কিন্তু বর্তমান বাস্তবতায় মনে হচ্ছে আমরা সরকারের একতরফা নির্বাচনের আয়োজনে বৈধতা দেওয়ার অনুঘটকের ভূমিকা পালন করছি। নির্বাচনে শেষ পর্যন্ত থাকলে আমাদের মাধ্যমেই তাদের বৈধতা হাসিল হবে। এছাড়া দৃশ্যত মনে হচ্ছে ক্ষমতাসীন দল আমাদের দলীয় জোটের প্রার্থীদের কোনো মূল্যায়ন করছে না।

তিনি আরও বলেন, ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা প্রতিনিয়তই আইনের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে নির্বাচনী আচরণ বিধি লঙনের মহোৎসবে মেতে উঠেছে। তাদের এমন কর্মকাণ্ডে মূলত নির্বাচনের নামে তামাশার খেলা চলছে বলেই প্রতীয়মান হচ্ছে। আর তাদের এমন নিয়ম বহির্ভূত কর্মকাণ্ডে প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে সহযোগিতা করছে সরকার নিয়ন্ত্রিত স্থানীয় প্রশাসন। প্রশাসনের এমন একচোখা নীতি ও আচরণের ফলে কার্যত নির্বাচন কমিশনের সকল নির্দেশনাই বাগাড়ম্বর বলে মনে হচ্ছে।

বাংলাদেশ কংগ্রেস ডাব প্রতীকে নির্বাচন করতে ১৪০ জনকে দলীয় মনোনয়ন দিয়েছিল। যাচাই বাছাই শেষে ১২১ জন চূড়ান্তভাবে বৈধ প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনী মাঠে রয়েছেন।

সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ কংগ্রেসের মহাসচিব এডভোকেট মো. ইয়ারুল ইসলাম, দলের সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল মোর্শেদ, আর্ন্তজাতিক বিষয়ক সম্পাদক কামরুজ্জামান বাবলুসহ অর্ধশত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী উপস্থিত ছিলেন।

এ সম্পর্কিত আরও খবর