নির্বাচন কমিশনে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার দেওয়া চিঠিকে কেন্দ্র করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসন নিয়ে নতুন করে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। আওয়ামী লীগ সভাপতি ইসি সচিব বরাবরে প্রেরিত চিঠিতে নৌকার প্রার্থীর পরিবর্তে জাতীয় পার্টির যুগ্ম মহাসচিব আব্দুল হামিদ ভাসানীর নাম উল্লেখ করেছেন।
আসনটিতে আব্দুল হামিদ ভাসানীর পাশাপাশি প্রেসিডিয়াম সদস্য রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়াও মনোনয়ন দাখিল করেছেন। আসনটিকে মূলত জাপার পক্ষে কে লড়বেন সে নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। একাধিকবার ফোন দিলেও রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া কিংবা আব্দুল হামিদ ভাসানী কল রিসিভ করেননি।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে ২০০৮ সালে মহাজোটের প্রার্থী হিসেবে জাপা নেতা জিয়াউল হক মৃধা বিজয়ী হন। ২০১৪ সালেও তিনি নির্বাচিত হন। ২০১৮ সালের নির্বাচনে জাতীয় পার্টি শ্বশুর জিয়াউল হক মৃধার পরিবর্তে জামাই অ্যাড. রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়াকে মনোনয়ন দেন। অন্যদিকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করেন শ্বশুর জিয়াউল হক মৃধা। এতে বিএনপির প্রার্থীর কাছে ধরাশায়ী হন জিয়াউল হক মৃধা। রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া মাত্র ২৭৯ ভোট পান।
বিএনপির সংসদ সদস্যরা পদত্যাগ করলে উকিল আব্দুস সাত্তারও পদত্যাগ করেন। উপ-নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন আব্দুস সাত্তার। ওই নির্বাচনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন আব্দুল হামিদ ভাসানী। উকিল আব্দুস সাত্তারের মৃত্যূর পর ফের উপ-নির্বাচনে হলে তখনও জাপার প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন ভাসানী।
এবার আসনটিতে দুই জনকে মনোনয়ন দিয়েছে জাতীয় পার্টি। প্রেসিডিয়াম সদস্য রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়ার পাশাপাশি সাবেক ছাত্রনেতা জাতীয় পার্টির যুগ্ম মহাসচিব আব্দুল হামিদ ভাসানীকেও মনোনয়ন দিয়েছে। তারা উভয়েই বৈধ প্রার্থী হিসেবে ঘোষিত হয়েছেন।
জাতীয় পার্টির যুগ্ম দফতর সম্পাদক মাহমুদ আলম বার্তা২৪.কমকে বলেছেন, আসনটিতে আমরা মনোনয়ন চূড়ান্ত করেছি প্রেসিডিয়াম সদস্য রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়াকে। সেই আমাদের প্রার্থী হিসেবে লড়বেন।