নির্বাচনের নামে এই পাতানো খেলা প্রতিহত করতে হবে। বর্জন করতে হবে বলে মন্তব্য করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান দেশবাসীকে ডাকাতি ঠেকাতে না পারলেও অন্তত ডাকাতিতে সহযোগিতা না করার আহ্বান জানিয়েছেন।
বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিএনপিপন্থী চিকিৎসকদের সংগঠন ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব) আয়োজিত মানববন্ধন ও নির্বাচন বর্জনের আহ্বানে গণসংযোগ কর্মসূচিতে তিনি এসব কথা বলেন।
নজরুল ইসলাম খান বলেন, এটা যদি নির্বাচন হতো তাহলে সেই নির্বাচনে যাওয়া বা না যাওয়ার প্রশ্ন আসত। আপনারা সবাই জানেন যে, নির্বাচন মানে হল প্রতিদ্বন্দ্বিতা, প্রতিযোগিতা। আর সেটা হয় প্রতিপক্ষের সঙ্গে। কিন্তু জানুয়ারির ৭ তারিখ যা ঘটতে যাচ্ছে, সেখানে কি কোন প্রতিপক্ষ আছে? সেখানে তো কোন প্রতিপক্ষ নেই।
তিনি বলেন, এটাকে আর যাই হোক নির্বাচন বলা যায় না। এই কারণেই আমরা এই নির্বাচনকে বর্জনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
বাজার পরিস্থিতি সরকারের নিয়ন্ত্রণের বাইরে জানিয়ে বিএনপির এই নেতা বলেন, আমার দেশের গরিব মানুষ বাজারে গিয়ে যখন দেখে সে কিছু কিনতে পারছে না তখন জিডিপির অঙ্ক তার কোনো কাজে আসে না। এই অঙ্ক ফাঁকির অঙ্ক।
নজরুল ইসলাম আরও বলেন, যদি দেশের সাধারণ মানুষের মর্যাদা ফিরিয়ে আনতে চাই তাহলে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার কোনো বিকল্প নেই। শ্রমিককে ন্যায্য মজুরি দেবেন না, ভূমিহীনরা নিঃস্ব হয়ে যাবে, সাংবাদিকেরা লিখতে পারবেন না এই পরিস্থিতি গ্রহণযোগ্য না।
নজরুল ইসলাম খান বলেন, যারা নির্বাচন করছে, এর মধ্যে একটি দল দেখাতে পারবেন, যারা সরকারের বিরোধী রাজনৈতিক দল। সরকারবিরোধী কোনো রাজনৈতিক দল এই নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে না। তাহলে আপনি (জনগণ) কাকে ভোট দিতে যাবেন? আপনি যাকেই ভোট দেন, সে হয় সরকারি দলের প্রার্থী, না হয় ডামি প্রার্থী, আর না হয় সরকারি দলের অনুগত দলের কোনো প্রার্থী। এই রসিকতার কোনো অর্থ হয় না।
বিএনপির এই নেতা জনগণের উদ্দেশে বলেন, আমরা শুধু বলেছি, আপনারা দয়া করে ভোট দিতে যাবেন না। কারণ, আপনার ভোটে কোনো কিছুর কোনো পরিবর্তন ঘটবে না। এই অন্যায়ে আপনারা সহযোগিতা করবেন না। সরকার নিজে নিজে যেভাবে চেষ্টা করছে করুক, কিন্তু আপনারা এর সাথী হবেন না।
তিনি আরও বলেন, প্রায় এক লাখ হাজার কোটি টাকা ব্যাংক থেকে লুট হয়ে গেছে। কারা এই টাকা লুট করেছে? সরকার কি জানে না? সরকার কি তাদের ধরতে পারে না? কিন্তু ধরে না কারণ, তারা হয় সরকারি দলের, আর না হয় সরকারি দলের পক্ষের লোক।
ড্যাবের সভাপতি অধ্যাপক ড. হারুনুর রশিদের সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. রফিকুল ইসলাম লাবু, মহাসচিব ড. আব্দুস সালাম, সহ-সভাপতি সিরাজুল ইসলাম, সহ-সভাপতি এরফানুল হক সিদ্দিকী প্রমুখ।