ঝালকাঠিতে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যানসহ চার আ.লীগ নেতা কারাগারে
ঝালকাঠির রাজাপুরে বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলন পালন করার সময় বিএনপির অফিস ভাঙচুর ও ককটেল বিস্ফোরণের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যানসহ চার জন আওয়ামী লীগের নেতাদের কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
সোমবার (২৫ নভেম্বর) সকালে ঝালকাঠির আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করলে আদালতের বিচারক মোঃ রহিবুল ইসলাম ৪ জনেরই জামিন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে প্রেরণের নির্দেশ প্রদান করে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ঝালকাঠি কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক পুলক চন্দ্র জানান, রাজাপুর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নাসিম উদ্দিন আকনের মামলায় জেলা আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক রাজাপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এবং বড়ইয়া ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ মনিরউজ্জামান মনির, রাজাপুর উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জামাল মৃধা, বড়ইয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি রাসেল মেম্বার এবং আওয়ামী লীগ সমর্থক তরিকুল ইসলাম মামুনকে আদালত কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয়।
রাজাপুর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নাসিম উদ্দিন আকন বাদী হয়ে গত ২৯ আগস্ট জেলা আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক মোঃ মনিরউজ্জামান, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ হোসেন শহিদ জিলানী (মিলন মাহামুদ বাচ্চু), উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ্যাডঃ খায়রুল আলম (সরফরাজ), উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ জিয়া হায়দার খান লিটন, গালুয়া ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম কিবরিয়া পারভেজসহ নামধারী ৪৪জন সহ অজ্ঞাত ২০০/৩০০ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে রাজাপুর থানায় বিস্ফোরক আইনে মামলা (মামলা নং ৫) দায়ের করেন।
মামলায় বাদী উল্লেখ করেন, ২০২২ সালের ২৪মে পূর্ব নির্ধারিত বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে পালন করার সময় আগ্নেয়াস্ত্রসহ দেশীয় বিভিন্ন ধরনের অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে উপজেলা বিএনপি অফিসে হামলা চালানো হয়। এসময় আসামিরা ফাকা গুলি ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আসামিরা নেতাকর্মীদের ওপর হামলা ও ভাঙচুরে বিএনপি অফিসের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। এতে ৭ লাখ ৩০হাজর টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে মামলায় দাবি করা হয়েছে।
মামলার বাদী নাসিম উদ্দিন আকন জানান, নেতাকর্মীদের নিয়ে বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলনের আয়োজন করলে সেখানে ৩ শতাধিক লোক ককটেল বিস্ফোরণ, হামলা ও ভাঙচুর করে। এসময় বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হয়েছিলেন। আমাদের অফিসের প্রায় ৮ লাখ টাকা মূল্যের মালামালের ক্ষতি হয়েছে। এর দৃষ্টান্তমূলক উপযুক্ত বিচার চাই।