ডামি নির্বাচন বর্জন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের পদত্যাগের দাবিতে অসহযোগ আন্দোলনের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে আগামী ১ জানুয়ারি থেকে সাত জানুয়ারি পর্যন্ত আদালত বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা।
বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) দুপুরে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ভবনে এ ঘোষণা দেন বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল।
তিনি বলেন, ‘সাম্য, মানবিক মর্যদা, সামাজিক সুবিচার’- এই তিনটি লক্ষ্যে নিয়ে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের জনগণ মুক্তিযুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়েছিল এবং এক সাগর রক্তের বিনিময় ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর আমরা অর্জন করেছিলাম কাঙ্ক্ষিত বিজয়। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের মাত্র ৩ বছরের মাথায় বাংলাদেশের জনগণের আজীবনের স্বপ্ন গণতন্ত্র, স্বাধীন বিচার বিভাগ, জনগণের চিন্তা ও বাক স্বাধীনতা এবং সংগঠন করার যে অধিকার সেই অধিকারগুলোকে জলাঞ্জলি দিয়ে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধ্বংস করে এক দলীয় শাসন ব্যবস্থা যা বাকশাল নামে কুখ্যাতি অর্জন করেছিল। শুধু একদলীয় নয় মূলত এক ব্যক্তি রাষ্ট্রের সকল ক্ষমতার মালিক বনে গিয়েছিলেন।
তিনি আরও বলেন, মহান স্বাধীনতার ৫২ বছর শেষে অবৈধ, বিনা ভোটে, নিশি রাতের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পুনরায় আমাদের এই প্রিয় মাতৃভূমিকে নিকসকালো অন্ধকার বাকশাল-২ এ পরিণত করেছে। আগামী ৭ জানুয়ারি সরকার আরও একটি নীলনকশার পাতানো ডামি নির্বাচনের পাঁয়তারা করছে।কথিত নির্বাচনকে অংশগ্রহণমূলক দেখানোর জন্য সরকারি দলের স্বতন্ত্র প্রার্থী, বিদ্রোহী প্রার্থী, অনুগত প্রার্থী প্রভৃতি হরেক রকমের প্রার্থী দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছে। কারা ডামি হিসাবে দাঁড়িয়ে থাকবে তাও ঠিক করে দেওয়া হচ্ছে।
অবৈধ ফ্যাসিস্ট সরকার রাষ্ট্রের সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে, হয় আজ্ঞাবহ করেছে, অথবা করায়ত্ব করতে না পেরে প্রতিষ্ঠানগুলোকে দুমড়ে মচড়ে ভেঙে দিয়েছে। জনগণের শেষ আশ্রয় স্থল হচ্ছে বিচার বিভাগ, সংবিধানের তৃতীয়ভাগে জনগণের মৌলিক অধিকার বিবৃত আছে এবং অনুচ্ছেদ ১০২ অনুযায়ী হাইকোর্ট বিভাগ জনগণের মৌলিক অধিকার বলবৎ করার জন্য সংবিধানের কাছে দায়বদ্ধ। বিশেষ করে অনুচ্ছেদ ৩১ অনুযায়ী।