সরকার লোভ এবং ভয়-ভীতির কারণে ক্ষমতা ছাড়তে চাচ্ছে না। তারা এত অন্যায় করেছে, তারা এখন চিন্তা করে ক্ষমতায় না থাকলে তাদের অন্যায়ের জন্য ন্যায় বিচার করা হলেও আজীবন জেলে থাকতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান।
শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের আবদুস সালাম হলে আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টি) কর্তৃক আয়োজিত "দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন বর্জন, অংশগ্রহণ ও ডামি ভোটাভুটি" শীর্ষক নির্দেশনামূলক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
নজরুল ইসলাম বলেন, মানুষ চুরি করে গোপনে, ভোটের জালিয়াতিও হয় গোপনে, কিন্তু এদেশে ২০১৮ সালের নির্বাচন কোনো জালিয়াতি বা চুরি ছিল না এটা স্রেফ ডাকাতি। সবার চোখের সামনে ভোট ডাকাতি হয়েছে। সরকার নির্বাচন কমিশন, প্রশাসন, পুলিশ, এবং সরকারি দলের যারা পান্ডা তারা সবাই মিলে রাতে এবং দিনে এ কাজটি করেছে।
সরকারকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, কয়েকদিন আগে ইলেকশন কমিশনার বলেছে, বিদেশিরা নির্বাচনের খোঁজ খবর নেওয়ার জন্য গুপ্তচর লাগিয়েছে। এবার তারা (সরকার) ভোট চুরি করার ভয় পাচ্ছে। তারা (সরকার) খুব চেষ্টা করতেছে যাতে এবার ভোট কেন্দ্রে কিছু ভোটার আনা যায়। যার জন্য ইতিহাসে আমরা আরেকটা নতুন শব্দ নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় দেখলাম সেটি হলো ডামি প্রার্থী। এবং সেই ডামি প্রার্থীদেরকে যাতে কেউ ডিস্টার্ব না করে এ ব্যাপারে ক্ষমতাসীন দলের প্রধান নেতারাও বক্তব্য দিচ্ছেন। যেভাবেই হোক তারা (আওয়ামী লীগ) কিছু ভোটার নিয়ে আসতে চায়। ক্ষমতাসীন দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে কিন্তু তার মধ্যে একটা বিরোধী দলও নির্বাচনের মধ্যে নেই।
বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, জাতীয় পার্টি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে, তারা ২৬ টি আসনে আপোষ করেছে। জাসদ ৩ টা, ওয়ার্কার্স পার্টি ২ টা ও তৃণমূল রয়েছে। এই হচ্ছে নির্বাচনের অবস্থা। আমি আর ডামি নির্বাচন হচ্ছে। ২০১৮ তে জাতীয় পার্টি ছাড়া যারা নির্বাচনে গিয়েছে তারা ২ শতাংশ-এর কম ভোট পেয়েছে। তারা (আওয়ামী লীগ) ব্যাংক লুট, শেয়ার বাজার লুট সিন্ডিকেটের নামে আমাদের জনগণের পকেট কাটছে। একদিনে ডিমের দাম বাড়ানোর কারণে প্রতিদিন ১০ কোটি টাকা তুলে নেওয়া হচ্ছে।
এবি পার্টির আহবায়ক এ এফ এম সোলাইমানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ড.আহমদ আবদুল কাদের, গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী প্রমুখ।