এবার আমরা নির্বাচন উন্মুক্ত করে দিয়েছি: প্রধানমন্ত্রী

আওয়ামী লীগ, রাজনীতি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2024-01-08 16:50:55

‘এবারের যে নির্বাচন, এটা একটু ব্যতিক্রমি। সাধারণত সব দলগুলো তারা তাদের প্রার্থী নির্বাচিত করে দেয়, এবার যেমন আমি আমার প্রার্থী নির্বাচিত করেছি পাশাপাশি উম্মুক্ত করে দিয়েছি। যার যা ইচ্ছামত দাঁড়াতে পারবে। আপনারা দেখেছেন একটি দল অংশগ্রহণ করেনি কারণ তারা কখনো নির্বাচন করতে চায় নাই। যারা মিলিটারি ডিক্টেটর এর হাতে তৈরি হয় তারা নিজেরা চলতে পারে না, তাদের জনসমর্থন থাকে না। তাই সরাসরি নির্বাচনকে ভয় করে। কারণ তাদের জনসমর্থন থাকে না। কিন্তু আমাদের দল হলো জনগণের দল।

সোমবার (৮ জানুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৩টায় গণভবনে দেশি-বিদেশি পর্যবেক্ষক ও সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের সব সময় চেষ্টা ছিলো নির্বাচনটাকে সুষ্ঠু করা, মানুষের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করা, সে কাকে চায় সেটা জনগণই সিদ্ধান্ত নিবে। সে অনুযায়ী নির্বাচন সব সিস্টেম সংস্কার করি। ইলেকশন কমিশন আইন করে ইলেকশন কমিশন করা। অর্থনৈতিক ভাবে স্বাবলম্বী করি। তারা যে সুষ্ঠু ভাবে কাজ করবে এবং ইলেকশন চলাকালীন সময়ে আমাদের প্রশাসন, লো ইনফোর্সমেন্ট এজেন্সি নির্বাচন কমিশনের অধিনস্ত করে মানুষের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করা সেটাই লক্ষ ছিলো।

এবারের নির্বাচন একটু ব্যতিক্রম জানিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, এবারের নির্বাচনে জনগণ আমাদের ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছে। এবং অনেক স্বতন্ত্র নির্বাচিত। অন্য দলগুলোও বেশ কিছু নির্বাচিত হয়েছে। যা সম্পূর্ণ এই দেশের মানুষ স্বত:স্ফূর্তভাবে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছে এবং নির্বাচনকে খুব সুষ্ঠু ভাবে পরিচালনা করার সব ধরনের ব্যবস্থা আমরা নিয়েছি। যা আপনারা নিজেরাও দেখেছেন। 

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিজয় জনগণের বিজয় বলে মন্তব্য করে আওয়ামী লীগ প্রধান বলেন, এই বিজয়টা জনগণের বিজয়, এই বিজয়টা আমার বিজয় নয়। কারণ এখানে জনগণের যে অধিকারটা আছে, সেটা তারা প্রয়োগ করেছে। তাদের হাতেই আমরা সরকার গঠন করার ক্ষমতা ছেড়ে দিয়েছি এবং এটা আমাদের দীর্ঘ দিনের একটা সংগ্রাম। জনগণের ভোটের অধিকার তারা নিজেরা প্রয়োগ করবে। এই নির্বাচনের মধ্য দিয়ে সেটা সুষ্ঠু ভাবে পরিচালিত হয়েছে। নির্বাচন আজকে হয়ে গেছে, এখনো গ্যাজেট নোটিফিকেশন হয়নি। আমাদের অপেক্ষা করতে হবে।

শেখ হাসিনা বলেন, সম্পূর্ণ রেজাল্ট আসলে গ্যাজেট নোটিফিকেশন হবে। এর পর ওথ টেকিং হবে। আমাদের পার্লামেন্ট পার্টি মিটিং করতে হবে। লিডার কে হবে সেটা নির্বাচন করতে হবে। পার্লামেন্ট মেম্বার যারা নির্বাচিত হবে তারাই তাদের লিডার নির্বাচন করবে। সে হবে পার্লামেন্ট-এর লিডার। তখন গভমেন্ট ফর্ম করার জন্য প্রেসিডেন্ট এর কাছে যেতে হবে এবং সরকার গঠন হবে। এটাই আমাদের সাংবিধানিক প্রক্রিয়া। সেটাই আমরা এখন অনুসরণ করতে চাচ্ছি। 

এ সম্পর্কিত আরও খবর