বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বলেছেন, আওয়ামী লীগ বহুদলীয় গণতন্ত্রকে বাকশালে পরিণত করে আর বিএনপি বাকশালকে বহুদলীয় গণতন্ত্রে রূপান্তরিত করে। এটাই আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে প্রভেদ।
রোববার (২১ জানুয়ারি) বিকেলে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) নসরুল হামিদ মিলনায়তনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের উদ্যোগে আয়োজিত বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৮৮ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ‘সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের দাবিতে’ আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
ড. মঈন খান বলেন, আমরা ক্ষমতার জন্য আন্দোলন করি নাই। বিএনপি ক্ষমতার আন্দোলনে বিশ্বাস করে না। বিএনপি জনগণের অধিকারে বিশ্বাস করে। আমরা আন্দোলনে আছি জনগণের অধিকার জনগণের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য। জনগণের ভোটের অধিকার, বেঁচে থাকার অধিকার, তাদের অর্থনৈতিক এবং সাম্যের অধিকার এবং মানবাধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার আন্দোলন করছি।
সরকার কথায় কথায় সংবিধানের দোহাই দেওয়াকে উদ্দেশ্য করে মঈন খান বলেন, বাংলাদেশের সংবিধানে স্পষ্টভাবে বলা আছে এ রাষ্ট্রের মালিক কোন রাজনৈতিক দল নয়। জনগণই এ রাষ্ট্রের মালিক। রাষ্ট্রপতি শহীদ জিয়াউর রহমানও বলেছেন একটি রাষ্ট্রের মালিক হচ্ছে জনগণ।
বিএনপির এই স্থায়ী কমিটির সদস্য আরও বলেন, প্রতি ৫ বছর পর পর জনগণ তাদের ক্ষমতা একটি নির্দিষ্ট সময়ে ৫ বছরের জন্য একজনের উপরে তাদের দায়িত্ব অর্পণ করে প্রতিনিধি সৃষ্টি করে। সংসদে ৩০০ সদস্য থাকে এরপরে সরকার গঠন করে। কিন্তু সেই সরকার যদি মনে করে যে তারা চিরদিনের জন্য ক্ষমতা পেয়ে গেছে যেটা আজকের বর্তমান সরকার মনে করছে। বর্তমান সরকার যদি মনে করে যে তারা চিরদিনের জন্য ক্ষমতা পেয়ে গেছে তাহলে তারা মারাত্মক ভুল করবে।
৭ জানুয়ারি নির্বাচনে এই সরকার পরাজিত হয়েছে এমন মন্তব্য করে মঈন খান বলেন, তাদের (সরকার) পায়ের নিচে মাটি নেই। অনেকে বলে, এই সরকার কি আরো ৫ বছর থাকবে? তখন বলি, স্বৈরাচার এরশাদ চলে যাওয়ার আগেও কি কেউ জেনে ছিলো। সে চলে যাবে? তিনিও গেছেন! আমি বলতে চাই, এই সরকার শূন্যের ওপর টিকে আছে। এদের পায়ের নিচে মাটি নেই।
ইঞ্জিনিয়ার নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও জাতীয় সংসদের সাবেক বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ জয়নাল আবেদীন ফারুক, জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা সাদেক খান, এবি পার্টির যুগ্ম সদস্যসচিব ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ, বিএনপির তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন নসু, বিএনপির মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক কর্ণেল (অব.) জয়নুল আবেদীন, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাভোকেট ফজলুর রহমান প্রমুখ।