চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির সভাপতি মাহমুদ হাসান, সম্পাদক শরীফুজ্জামান
আগামী দুই বছরের জন্য চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির সভাপতি হিসেবে মাহমুদ হাসান খান বাবু ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে মো. শরীফুজ্জামান শরীফ নির্বাচিত হয়েছেন।
শনিবার (২৩ নভেম্বর) বিকেলে চুয়াডাঙ্গা কালেক্টরেট স্কুল মাঠ প্রাঙ্গণে সম্মেলনের দ্বিতীয় পর্ব কাউন্সিল অধিবেশনে ৮০৮ জন কাউন্সিলর ব্যালটের মাধ্যমে ভোট দিয়ে সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদকদের নির্বাচিত করেন। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও কেন্দ্রীয় বিএনপির উপ-কোষাধ্যক্ষ মাহমুদ হাসান খান বাবু। সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্যসচিব মো. শরীফুজ্জামান শরীফ। সাংগঠনিক সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়েছেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মীর্জা ফরিদুল ইসলাম শিপলু, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি মো. সফিকুল ইসলাম পিটু ও দামুড়হুদা উপজেলা বিএনপির নেতা মোহা. খালিদ মাহমুদ।
কাউন্সিল অধিবেশন শেষে ভোটের ফলাফল ঘোষণা করেন নির্বাচন বোর্ডের প্রিসাইডিং অফিসার ও চুয়াডাঙ্গা জেলা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাড. মারুফ সরোয়ার বাবু। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা এবং নির্বাচন তদারকি করেন বিএনপির খুলনা বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত। ফলাফল ঘোষণার আগে পুনরায় অনলাইনে যুক্ত হয়ে দিক নির্দেশনামূলক বক্তব্য দেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি এটি একটি উল্লেখযোগ্য দিন চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির নেতা-কর্মীদের জন্য। আমাদের দলকে আরও শক্তি করার যে পদক্ষেপ, তা আজ চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপিতে আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল। ইতোপূর্বে হয়ত বিভিন্ন কারণে এই অগ্রগতি কিছুটা বাধাগ্রস্ত হয়েছে। আমি বিশ্বাস করি, এই সম্মেলনের মাধ্যমে চুয়াডাঙ্গার মাটিতে সাধারণ মানুষের মাঝে বিএনপির রাজনৈতিক ভিত্তি আরও মজবুত হবে।’
তিনি বলেন, ‘আজকে আমি আছি, কিন্তু একদিন আমি থাকব না, আমরা অনেকেই থাকব না। কিন্তু এই দল থাকবে, এই দলকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য, দলকে মানুষের প্রত্যাশা অনুযায়ী কাজে লাগানোর জন্য যোগ্য নেতৃত্বের প্রয়োজন। আমরা যদি আজকের ন্যায় এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে যোগ্য নেতা বেছে নিই, এই প্রক্রিয়া যদি চলমান থাকে, তাহলে অবশ্যই আমরা আমাদের দলতে আরও শক্ত ভীতে দাঁড় করাতে পারব।’
চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির সম্মেলনে সাধারণ সম্পাদক পদে জেলা বিএনপির সদস্যসচিব মো. শরীফুজ্জামান শরীফ ও জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মিলিমা বিশ্বাস মিলি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এছাড়া সাংগঠনিক সম্পাদক পদে জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি মো. সফিকুল ইসলাম পিটু, দামুড়হুদা উপজেলা বিএনপির নেতা মোহা. খালিদ মাহমুদ, জেলা যুবদলের অর্থ সম্পাদক মো. মোমিনুর রহমান ও জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মীর্জা ফরিদুল ইসলাম শিপলুসহ চারজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এর মধ্যে তিনজন সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পেয়েছেন।
চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির নির্বাচনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন অ্যাড. আব্দুল খালেক। আর নির্বাচন কমিশনার হিসেবে ছিলেন অ্যাড. আব্দুর রউফ, অ্যাড. শাহজাহান মুকুল, অ্যাড. মানি খন্দকার ও অ্যাড. মিল্টন।