চট্টগ্রামের বাঁশখালী থানায় ককটেল বিস্ফোরণ এবং নাশকতা মামলার সন্দেহভাজন পলাতক আসামি জামায়াত নেতা হাসান কামালকে (৫২) গ্রেফতার করেছে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
গতকাল শনিবার (২০ জানুয়ারি) বিকেলে নগরীর কোতোয়ালী থানাধীন লালদিঘির পশ্চিম পাড়াস্থ জেবি টাওয়ারের সামনে থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতার হাসান কামাল বাঁশখালীর কালীপুর এলাকার মৃত আসহাব উদ্দিনের ছেলে। তিনি জামায়াতের রুকন।
র্যাব জানায়, গেল বছরের ২ নভেম্বর বিএনপি ও জামায়াতের ডাকা অবরোধ চলাকালে বাঁশখালীর সোনারটিলা এলাকায় রাস্তার উপর অবরোধ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে কতিপয় দুষ্কৃতকারীরা সরকার বিরোধী বিভিন্ন ধরণের স্লোগান দিয়ে লাঠি-সোঠা, লোহার রড নিয়ে রাস্তায় যানবাহন চলাচলে বাধা সৃষ্টি, সাধারণ জনগণের মাঝে ভয়-ভীতির উদ্দেশ্যে কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড সৃষ্টি করে।
এসময় ভিকটিম মো. করিমসহ ৭/৮ জন নেতাকর্মীদের লক্ষ্য করে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে গুরুতর জখম করে এবং হত্যার উদ্দেশ্যে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। এছাড়াও অবরোধকারীরা ভিকটিম এবং আওয়ামী লীগ সরকারকে উদ্দেশ্য করে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকে। খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে নাশকতাকারীরা পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল হতে বিভিন্ন আলামত জব্দ করে। এ ঘটনায় ভোক্তভুগী মো. করিম বাদী হয়ে বাঁশখালী থানায় ৩২ জন এজাহার নামীয় এবং অজ্ঞাতনামা ১৫৫/২১৫ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করে।
র্যাব-৭ এর জ্যেষ্ঠ সহকারী পরিচালক (গণমাধ্যম) নুরুল আবছার বলেন, মামলার পলাতক আসামিদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে গোয়েন্দা নজরদারি এবং ছায়াতদন্ত অব্যাহত রাখে। এক পর্যায়ে মামলার সন্দেহভাজন পলাতক আসামি মো. হাসান কামাল বাঁশখালী জামায়াতের রুকন হাসান কামালকে গ্রেফতার করা হয়।
জিজ্ঞাসাবাদে তিনি জানিয়েছেন, অবরোধ কর্মসূচি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সড়কে যানবাহন চলাচলে বাধা সৃষ্টি, ভাঙচুর, ককটেল বিষ্ফোরণ ঘটিয়ে নাশকতা সৃষ্টি এবং বাদী ভিকটিমকে মারধর করে। আসামিকে বাঁশখালী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।