বিএনপি কোনো দেশের নিশ্চয়তা নিয়ে ক্ষমতায় যেতে চায়নি বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন।
মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) বিকেলে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের মাঠে এক বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
অবৈধ সংসদ বাতিল ও নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনের দাবিতে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি দলীয় কার্যালয়ের মাঠে কালো পতাকা সম্বলিত প্রতিবাদ সমাবেশে করে। এত সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন।
এসময় তিনি বলেন, ‘একটি অবৈধ সংসদ অধিবেশন বসেছে। ওখানে আওয়ামী লীগের সভানেত্রী বলেছেন, বিএনপি নাকি জয়ের নিশ্চয়তা না পেয়ে নির্বাচনে আসেনি। অথচ যারা ভারত, রাশিয়া, চীনের নিশ্চয়তা নিয়ে বাংলাদেশের ৯৫ ভাগ মানুষকে বাদ দিয়ে নির্বাচন করেছে, ওই নির্বাচন মানুষ বয়কট করেছে। এরা জনগণের নয়, চীন ভারত রাশিয়ার সরকার। এই সরকারকে মানতে আমরা বাধ্য নই।’
ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘বিএনপি কোনো দেশের নিশ্চয়তা নিয়ে ক্ষমতায় যেতে চায়নি, আন্দোলনও করে নাই, রাজনীতিও করে না। জনগণ নিয়ে আমরা রাজনীতি করি। দেশের মানুষ বিএনপির সাথে আছে। এই অবৈধ সংসদের ৩০০ সদস্যদের মধ্যে ১৯৯ জন হচ্ছেন ব্যবসায়ী। টেনেটুনে ২৬ জন রাজনীতিবিদ পেয়েছে। বাকিগুলো অন্যান্য পেশার। এখানে আবার দিল্লির প্রার্থীও আছে। দুর্নীতি লুটপাট অব্যাহত রাখার জন্য সরকার এই নির্বাচন করেছে। এই হচ্ছে বাংলাদেশের অবস্থা।’
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেনের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম আহ্বায়ক ইয়াছিন চৌধুরী লিটনের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর, দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান।
ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, বিএনপি নেতাকর্মীদের দমন পীড়ন করতে দ্রুত বিচার আইনকে পার্মানেন্ট করার অপচেষ্টা চলছে। ইতোমধ্যে কুইক রেন্টালের নামে ৯০ হাজার কোটি টাকার দায়মুক্তি আইন তারা পাস করেছে। তারা লুটপাট করবে, কিন্তু জনগণ প্রতিবাদ করতে পারবে না। যদি প্রতিবাদ করে, তাদের বিরুদ্ধে মামলা হবে। সাংবাদিকসহ যারা সত্য কথা বলে তাদেরকে দমন করতে আইসিটি আইন করা হয়েছে।
আবুল হাশেম বক্কর বলেন, জনগণ নির্বাচন প্রত্যাখান করে সরকারকে লাল কার্ড দেখিয়েছে। বিদেশি সার্টিফিকেট দিয়ে আওয়ামী লীগ সরকারের বৈধতা দেওয়ার সুযোগ নেই। লুটপাটের জবাব জনগণ দেবে। রাজপথে থেকেই জনগণের ভোটাধিকার, স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে। বিএনপিকে ভয় দেখিয়ে লাভ নেই। বিএনপি ভোট বর্জন করেছে, প্রতিহত করেনি। প্রতিহত করার আগেই মানে মানে কেটে পড়ুন। মামলা মোকদ্দমা দিয়ে লাভ নেই, সরকারের ধ্বংস অনিবার্য।
আবু সুফিয়ান বলেন, বিএনপির কালো পতাকা মিছিলে বাঁধা দিয়ে সরকার নিকৃষ্ট কাজ করেছে। এটা সরকারের দুর্বলতা। তারা ভয়ে আছে কখন গদি চলে যায়। ডান হাত আর বাম হাতের খেলা খেলে বিদেশে টাকা পাচার করবেন, এসব আর করতে দেওয়া হবে না। ভাইয়ে ভাইয়ে নির্বাচন করে আবারো বাংলাদেশের মানুষকে লুটেপুটে খাবেন। আবারো বিএনপি নেতাদের ওপর হামলা করবেন, মামলা করে জেলে দেবেন। এটা সহ্য করা হবে না।
এতে আরও বক্তব্য রাখেন মহানগর বিএনপির সি. যুগ্ম আহ্বায়ক আসেল, আনোয়ার হোসেন লিপু, মো. কামরুল ইসলাম, মহানগর মহিলাদলের সভাপতি মনোয়ারা বেগম মনি, থানা বিএনপির সভাপতি মঞ্জুর রহমান চৌধুরী, মামুনুল ইসলাম হুমায়ুন, ডা. নুরুল আবছার, থানা সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব জাকির হোসেন, মো. শাহাবুদ্দীন, হাজী বাদশা মিয়া, মনির আহম্মেদ চৌধুরী, গিয়াস উদ্দিন ভূইয়া, কাওসার হোসেন বাবু প্রমুখ।