চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, শহীদ জিয়াউর রহমান ছিলেন মুক্তিযুদ্ধের অগ্রনায়ক। কেউ চাইলেই এই ইতিহাস পরিবর্তন করতে পারবে না। কারণ ইতিহাস লিখেন ইতিহাসবিদরা। রাজনীতিবিদরা ইতিহাস রচনা করলে সেটা হয় প্রোপাগান্ডা।
সোমবার (২৫ মার্চ) বিকালে নগরীর ষোলশহর দুই নাম্বার গেইটস্থ বিপ্লব উদ্যানের শহীদ জিয়ার স্মৃতি বিজড়িত বিপ্লব বেদিতে মহান স্বাধীনতা দিবস উদযাপন উপলক্ষে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণকালে তিনি এসব কথা বলেন।
এতে উপস্থিত ছিলেন মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর।
ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালো রাত্রিতে আওয়ামী লীগের ব্যর্থতায় জাতি যখন নেতৃত্বশূন্য দিশেহারা তখনই জিয়াউর রহমান উজ্জ্বল নক্ষত্রের মতো আবির্ভূত হয়েছিলেন। এমনি এক অনিশ্চয়তার মধ্যে ষোলশহর বিপ্লব উদ্যানে তিনি পাক বাহিনীর বিরুদ্ধে "উই রিভোল্ট" বলে বিদ্রোহ ঘোষণা করে মুক্তিযুদ্ধের সূচনা করেছিলেন। কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা করেন। জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষণা দেশে ও আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত। বাংলাদেশে স্বাধীনতা যুদ্ধের বিষয় আসলেই জিয়াউর রহমানের নাম আসবে।
তিনি বলেন, গণতন্ত্র শুধু বিএনপির জন্য নয়, আওয়ামী লীগের জন্যও দরকার। আওয়ামী লীগ দেশের সবকিছুকে বিভক্ত করে ফেলেছে। তারা ইতিহাস নিয়ে ভণ্ডামি করে। শহীদ জিয়ার নাম পুলিশ দিয়ে পাহারা দিতে হয় না। শহীদ জিয়ার নাম বাংলাদেশের মানুষের অন্তরে।
আবুল হাশেম বক্কর বলেন, শহীদ জিয়া স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছেন এটাই ইতিহাস, এটাই সত্য। ইতিহাসকে বিকৃত করে কোথাও কেউ ঠিকে থাকতে পারেনি। ইতিহাস একটি ক্যানভাস, রং তুলি দিয়ে কেউ চাইলে অন্য অবস্থানে নিয়ে যেতে পারে না। শহীদ জিয়াকে যতই ছোট করতে চাইবে, তিনি ততই উজ্জ্বল নক্ষত্রের মত থাকবে। জিয়াউর রহমান ইতিহাস সৃষ্টিকারী, তিনি ইতিহাসের লেখক নয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক এস কে খোদা তোতন, নাজিমুর রহমান, শফিকুর রহমান স্বপন, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, মো. শাহ আলম, ইসকান্দর মির্জা, আবদুল মান্নান, আহ্বায়ক কমিটির সদস্য হারুন জামান, এস এম আবুল ফয়েজ, জাহাঙ্গীর আলম দুলাল, আনোয়ার হোসেন লিপু, গাজী মো. সিরাজ উল্লাহ, মো. কামরুল ইসলাম, সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের আহ্বায়ক সাংবাদিক জাহিদুল করিম কচি, জাসাস কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সচিব জাকির হোসেন রোকন প্রমুখ।