দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে হবে বলে মন্তব্য করে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, আমাদেরকে লড়াই করতে হবে। গত ১৫-১৬ বছর ধরে লড়াই করছি। আমার বিশ্বাস ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াই চালিয়ে যেতে পারলে এ সরকার ক্ষমতায় থাকতে পারবে না।
বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) জাতীয় প্রেসক্লাবের আব্দুস সালাম হলে জাতীয়তাবাদী জনতা দলের উদ্যোগে স্বাধীনতার মহান ঘোষক ও বাংলাদেশে বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বীর উত্তমের ৪৩তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
শামসুজ্জামান দুদু বলেন, পৃথিবীতে কিছু কিছু মানুষ আসে পৃথিবীকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য, সমৃদ্ধ করার জন্য তেমনি জিয়াউর রহমান এসেছিলেন। তিনি শুধু স্বাধীনতার ঘোষণাই করেননি। রণাঙ্গনের যুদ্ধ করেছেন। উনাকে মহানায়ক, মহাপুরুষ বললে কম হবে। শহীদ জিয়াউর রহমান নিরহংকার মানুষ ছিলেন। তিনি কখনো কারো বিরুদ্ধে কটূক্তি করেননি। আজ যারা শাসক আছে তারা যেভাবে সমালোচনা করে, যে ভাষায় সমালোচনা করে এটা দুঃখজনক।
তিনি বলেন, শেখ মুজিবুর রহমান যেখানে গণতন্ত্র রক্ষা করতে ব্যর্থ হয়েছিলেন। সেখানে শহীদ জিয়াউর রহমান গণতন্ত্রকে বিকশিত করেছিলেন। আওয়ামী লীগ যেখানে রাজনৈতিক দলগুলোকে নিষিদ্ধ করেছিলেন তিনি সব রাজনৈতিক দলগুলোকে ফিরিয়ে এনেছেন। শহীদ জিয়াউর রহমান দুর্ভিক্ষকে এ দেশ থেকে নির্বাসিত করেছেন। এই দেশটাকে তিনি সম্মানিত করেছেন সারা বিশ্বের কাছে।
ছাত্রদলের সাবেক এই সভাপতি বলেন, দেশ নায়ক তারেক রহমান যখনই এদেশের মাটিতে পা দিবেন তখনই এ দেশ থেকে ফ্যাসিবাদ শুধু দূরই হবে না নিশ্চিহ্ন হবে। তিনি ফ্যাসিবাদকে কবরস্থ করার জন্য আসবেন। তিনি তৈরি হয়ে আছেন। যেকোনো মুহূর্তে আসতে পারেন।
তিনি বলেন, বেগম জিয়া আমাদেরকে সম্মানিত করেছেন, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছেন।তিনি শিক্ষার অগ্রদূত, তিনি কথা দিয়েছিলেন ক্ষমতায় আসলে পাঁচ হাজার টাকা কৃষকদের সুদ, ঋণ মওকুফ করবেন তিনি করেছিলেন। তিনি সারের দাম কমিয়ে ছিলেন। দেশকে রক্ষা করেছিলেন। আর বর্তমানে যারা ক্ষমতায় আছে তারা দেশের সার্বভৌমত্বকে রক্ষা করতে পারছেন না। ভাবা যায় বার্মা আমাদের ওপর আক্রমণ করে।
কৃষকদলের সাবেক এ আহবায়ক বলেন, এ সরকার আর বেশিদিন ক্ষমতায় নাই। সরকার নিজেই তার কার্যক্রমে প্রমাণ করেছে। তিনি (শেখ হাসিনা) ভারতে গিয়েছিলেন। তিস্তার পানি আনতে পারতেন সীমান্তে হত্যার কথা বলতে পারতেন। কিন্তু তিনি বলেন নাই। তিনি ভুলে গেছেন। তিনি আসলে ভ্রমণ করতে গিয়েছিলেন।
জনতা দলের সভাপতি রায়হানুল ইসলাম রাজুর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহবায়ক আব্দুস সালাম, বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শ্যামা ওবায়েদ, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান লায়ন ফারুক রহমান, মুক্তিযোদ্ধা দলের সাংগঠনিক সম্পাদক লায়ন মিয়া মোহাম্মদ আনোয়ার, দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলাম রিপন প্রমুখ।