হাসপাতালে চিকিৎসাধীন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবি জানিয়ে সরকারকে কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সরকারকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, দেশনেত্রীকে মুক্তি না দিলে সরকারের জন্য ভয়াবহ পরিণতি অপেক্ষা করছে।
শনিবার (২৯ জুন) রাজধানীর নয়াপল্টনের সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপি মহাসচিব এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, সরকার অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে দেশের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক কাঠামো নষ্ট করেছে। তারা শিক্ষা, চিকিৎসা ব্যবস্থা ধ্বংস করেছে, লুটপাট করে অর্থনীতি ধ্বংস করেছে।
তিনি আরও বলেন, খালেদা জিয়াকে ছাড়া গণতন্ত্র কল্পনা করা যায় না। তাকে অন্যায়ভাবে ৬ বছর কারাগারে বন্দি অবস্থায় রাখা হয়েছে। তাকে মুক্ত না করলে সরকারের জন্য ভয়াবহ পরিণতি অপেক্ষা করছে।
দুর্নীতির রাঘববোয়ালদের ধরা হয় না অভিযোগ করে মির্জা ফখরুল বলেন, আজকে খেটে খাওয়া শ্রমিকরা চাল-ডাল, তেল কিনতে হিমশিম খাচ্ছেন। কেউ চিকিৎসা পায় না। লুট করে বিদেশে টাকা পাচার করেছেন। সেনাবাহিনীর সাবেক প্রধান লুটের সঙ্গে জড়িত। আমরা চিন্তা করতে পারি না। তিনি দেশের গণতন্ত্র ধ্বংসের সঙ্গে জড়িত। আজকে পুলিশের সাবেক প্রধান দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত। এনবিআরের কর্মকর্তা জড়িত। এমন আরো অনেকেই আছে। কিন্তু রাঘববোয়ালদের ধরা হয় না।
১৯৮১ সালে জিয়াউর রহমানের মৃত্যুর পর থেকে জাতীয়তাবাদ ও গণতন্ত্রের পতাকা বহন করে চলেছেন বেগম খালেদা জিয়া। তিনি ১৯৯০ সালে ক্ষমতায় এসে সংসদীয় গণতন্ত্রকে উদ্ধার করেছিলেন। গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করেছেন।
বিএনপির নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, বেগম জিয়ার মুক্তির জন্য রাজপথে তীব্র আন্দোলন করতে হবে। আওয়ামী লীগের হাতে দেশ নিরাপদ নয়।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের সভাপতিত্বে ও প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকুর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বেগম সেলিমা রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান বরকতউল্লাহ বুলু, মো. শাহজাহান, নিতাই রায় চৌধুরী, আহমেদ আযম খানসহ প্রমুখ।