চলমান কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলনে সরকার ভেসে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
এসময় তিনি বলেন, আমি যদি ৩৪ বছর আগে ফিরে যেতে পারতাম। তাহলে কোটা সংস্কার আন্দোলনে অংশ নিতাম।
সোমবার (১৫ জুলাই) ঢাকা মহানগর যুবদল দক্ষিণের আহ্বায়ক খন্দকার এনামের পরিবারের খোঁজ-খবর নিতে গিয়ে সাংবাদিকদের এ সব কথা বলেন তিনি।
রিজভী বলেন, শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক আন্দোলন নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অহেতুক গালাগালি করেছেন। ঢালাওভাবে আন্দোলকারী শিক্ষার্থীদের ‘রাজাকারের নাতি’ বলে নিন্দা করেছেন।
তিনি আরও বলেন, ‘রাগ করে ২০১৮ কোটা বাতিল করেছি’ প্রধানমন্ত্রীর এমন বক্তব্য প্রমাণ করে তিনি সংবিধান লঙ্ঘন করেছেন, শপথ ভঙ্গ করেছেন। দেশের আদালত আজ প্রধানমন্ত্রীর শাড়ির আঁচলে বন্দি। তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগকে সরকার লেলিয়ে দিয়েছে। এ আন্দোলনে ক্ষমতাসীনরা ভেসে যাবে, তাদের সিংহাসন উড়ে যাবে।
এসময় তিনি বলেন, খন্দকার এনামের স্ত্রীর মর্মস্পর্শী কথাগুলো শুনে হৃদয়ে আলোড়ন তৈরি করেছে। এটি বিরোধী রাজনীতির সবার পরিবারের কথা। কারণ এই পরিবারগুলো বেশি সাফার করছে। আমাদের পার্মানেন্ট ঠিকানা করে দেয়া হয়েছে কারাগার। আমাদের প্রত্যেকের বসবাস হয় নদীর ধারে, বাঁশঝাড়ে না হয় লাল দালানে।
তিনি আরও বলেন, আমরা যতক্ষণ না আমাদের মা, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে না পারছি, গণতন্ত্র মুক্ত করতে না পারছি ততক্ষণ আমাদের প্রেরণা দিচ্ছেন আমাদের মা, স্ত্রী ও বোনেরা। এটি সব থেকে বেশি আমাদেরকে অনুপ্রাণিত করেছে।
দলের স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলামের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন কারাগারে থাকা এনামের স্ত্রী।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন- বিএনপি’র স্বাস্থ্য সম্পাদক ডা. মো. রফিকুল ইসলাম, সহ-অর্থনৈতিক সম্পাদক মাহমুদুর রহমান সুমন, কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি জয়দেব জয়, সাবেক স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় নেতা আরিফুর রহমান তুষার, সহ-সভাপতি তৌহিদুর রহমান আউয়াল, বিএনপি নেতা জাকির হোসেন, সাবেক ছাত্রনেতা নাহিদুর রহমান নাহিদ, মহিউদ্দিন মহি, ঢাকা কলেজ ছাত্রদলের সহ-সাধারণ সম্পাদক শাহ পরান, ছাত্রদল নেতা ডা. মুশফিক, মিরাজ হোসেন, আশরাফুল আসাদ-সহ নেতৃবৃন্দ।