দেশ ও অর্থনীতিকে পঙ্গু করে দেওয়াই ধ্বংসযজ্ঞের উদ্দেশ্য: আমু

বিবিধ, রাজনীতি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা | 2024-07-29 12:43:23

কোটা সংস্কার আন্দোলনে রাষ্ট্রীয় স্থাপনায় আক্রমণ দেশের অর্থনীতিকে পঙ্গু করে দিয়ে দেশকে পঙ্গু করে দেওয়াই উদ্দেশ্য বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলির সদস্য ও ১৪ দলের সমন্বয়ক আমির হোসেন আমু।

সোমবার (২৯ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টায় বনানীর সেতুভবন পরিদর্শন শেষে তিনি এ মন্তব্য করেন।

আমির হোসেন আমু বলেন, একটা দখলদার বাহিনী দেশে যে সব ধ্বংসযজ্ঞ করে, তারই কিছু নমুনা তারা এখানে রেখে গেছেন। আজকে আর বলতে অসুবিধা নেই, তারা দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্বকে এখন পর্যন্ত মেনে নিতে পারেনি, বিশ্বাস করে না।

তিনি বলেন, যারা দেশকে একটি অকার্যকর রাষ্ট্র হিসেবে পরিণত করতে চায়, তাদেরই কর্ম হচ্ছে আজকের এই স্থাপনাগুলো ধ্বংস করে দেওয়া, যোগাযোগ ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দেওয়া। দেশের অর্থনীতিকে পঙ্গু করে দিয়ে দেশকে পঙ্গু করে দেওয়া। এটাই তাদের একমাত্র লক্ষ্য।

প্রধানমন্ত্রীর অবদান উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলির সদস্য আমির হোসেন আমু বলেন, আজকে যেহেতু দেশকে খুবই অল্প সময়ে একটি জায়গায় উপস্থিত করতে পেরেছেন, আন্তর্জাতিক বিশ্বে একটি সমাদৃত দেশ ও জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন, সে জন্য তিনি হচ্ছেন তাদের গাত্রদাহ। তাই, আজকে তার বিরুদ্ধে নানান কুৎসা রটনা ও ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।

আন্দোলনকারীরা বার বার বলেছে, এই ধ্বংসযজ্ঞে তারা জড়িত না উল্লেখ করে আমু বলেন, এই আন্দোলনের সুযোগ নিয়ে, তাদের কাঁধে ভর করে দুষ্কৃতকারীরা, স্বাধীনতা বিরোধীতাকারীরা আজকে এটা করছে। দেশবাসীর উচিত সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই দুষ্কৃতকারীদের বিরুদ্ধে দাঁড়ানো এবং তাদের প্রতিহত করা।

বাংলাদেশের ওয়ার্কাস পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেন, রাষ্ট্রীয় স্থাপনার ওপর আঘাত করে তারা চেষ্টা করেছে রাষ্ট্রকে অকার্যকর করে দেওয়ার। অকার্যকর রাষ্ট্র যদি তারা প্রমাণ করতে পারে, তাহলে বিদেশ থেকে যে সহযোগিতা তারা পাচ্ছে, তা হয়ত এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবে। সে কারণেই এই সেতু ভবনের ওপর আক্রমণকে আমাদের জাতীয় জীবনের ওপরও আক্রমণ হিসেবে বিবেচনা করতে হবে।

বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, ছবি-বার্তা২৪.কম


শিক্ষার্থীরা এই সেতু ভবনের ওপর আক্রমণ করবে এটা কল্পনাও করা যায় না উল্লেখ করে মেনন বলেন, তারা বলেছেনও তারা আক্রমণ করেননি। এটা স্পষ্ট যে, জামায়াত-শিবিরের প্রশিক্ষিত ক্যাডারদেরই খুলনা, সাতক্ষীরা, রাজশাহী, চাপাইনবাবগঞ্জ, রংপুর থেকে ঢাকায় নিয়ে আসা হয়েছিল।

এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন- আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলির সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, মুক্তিযুদ্ধা সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাসসহ ১৪ দলের নেতৃবৃন্দ।

এ সম্পর্কিত আরও খবর