সরকার ও বিভিন্ন দল দেশের স্বাধীনতাবিরোধী দাতাকারী দল জামায়াতে ইসলামকে নিষিদ্ধের দাবি জানিয়ে আসছে আগে থেকেই। এই দাবি সম্প্রতি কোটা আন্দোলনের মধ্যে সহিংসতার জন্য দলটিকে দায়ী করে জোরদার হয়েছে আরেকবার। সরকার নিষিদ্ধের ব্যাপারে তৎপরতা শুরু করেছে। যেকোন সময় সরকারের নির্বাহী আদেশ নিষিদ্ধ হতে পারে দলটি। এই বিষয়ে নির্বাচন কমিশন (ইসি) বলছে দলটির সাথে আগে থেকেই তাদের সম্পর্ক শেষ।
এর আগে ২০১৮ সালে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছিলো সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান ইসি। ২০১৩ সালের ১ আগস্ট জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল ও অবৈধ ঘোষণা করে রায় দেন হাইকোর্ট। তবে তখন ইসি থেকে জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল করে কোনো প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়নি।
সম্প্রতি সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় সংঘাত ও সহিংসতার জন্য দায়ী করা হয় ইসির নিবন্ধন হারানো দল জামায়াতে ইসলামকে। এসময় দেশের বিভিন্ন মহল থেকে রাজনৈতিক দল হিসেবে জামায়াতকে নিষিদ্ধের দাবি ওঠে।
তারই ধারাবাহিকতায় গতকাল সোমবার (২৯ জুলাই) রাতে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলের বৈঠকে জামায়াত নিষিদ্ধের পক্ষে সবাই ঐকমত্য হয়েছে। এই বিষয়ে আইনমন্ত্রীকে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার তাগিদ দেয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
জামায়াত নিষিদ্ধ নিয়ে নির্বাচন কমিশন ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ বার্তা২৪.কমকে বলেন, আমাদের সাথে রাজনৈতিক দলের সম্পর্ক সে নির্বাচন করতে পারবে কি পারবেনা। রাজনৈতিক দল রাস্তায় আন্দোলন করতে পারবে কিনা সেটা সরকারের বিষয়।
ইসির আর কিছু করা আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, জামায়াতের সাথে আমাদের (নির্বাচন কমিশনের) সম্পর্ক আগেই শেষ হয়েছে। এখন নিষিদ্ধের বিষয়টি পুরোপুরি রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত।
এর আগে নির্বাচন কমিশন থেকে নিবন্ধন হারানো দলতি ২০১৮ সাথে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে কয়েকটি আসনে নিজেদের প্রার্থী দেয়। সেই নির্বাচনের আগে একটি আসনেও জিততে পারেনি দলটির প্রার্থীরা। একাদশ নির্বাচনের বিভিন্ন মহলের চাপে বিএনপি জামায়াতের সাথে দূরত্ব বাড়তে থাকে। এই দু'দলকে পরবর্তীতে প্রকাশ্য কোন রাজনৈতিক কর্মসূচিতে দেখা যায়নি।