রাজধানীর গুলিস্তানে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে লুটপাট করে নিয়ে যাচ্ছে মালামাল। সোমবারের জনরোষে দেওয়া আগুনে ভবনের অধিকাংশ পুড়ে গেলেও বাকি থাকা মালপত্র নিতে লম্বা লাইন লেগে যায় রিকশা, ভ্যানের।
সরেজমিনে মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) সকালে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে গিয়ে এমন চিত্র দেখা যায়। এসময় মালপত্র নিতে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে ভাঙতে দেখা গেছে ভবনের বিভিন্ন অংশ।
শুধু কেন্দ্রীয় কার্যালয়ই নয় আশেপাশে থাকা দলটির অন্যান্য সহযোগী ও অঙ্গসংগঠনের অফিসেও একই চিত্র দেখা যায়। এসময় কিছু কিছু জায়গায় আগুন জ্বলতেও দেখা যায়।
এদিন দেখা যায়, লোকজন রিকশা, ভ্যান নিয়ে এসে যা পাচ্ছে সামনে সবই নিয়ে যাচ্ছে। ভবনের বিভিন্ন অংশে থাকা গ্লাসগুলো খুলে ফেলা হয়েছে। যেগুলো খোলা সম্ভব হয়নি সেগুলো ভাঙা হচ্ছে হাতুরি দিয়ে। পরে হাতুরি দিয়ে খোলা হচ্ছে লোহা, স্টেইনলেস স্টিল। সেগুলো এনে জমা করছে নিচে। পরে রিকশায় উঠিয়ে নিয়ে যাচ্ছে বাড়ি।
এসময় বিভিন্ন কক্ষে থাকা স্টিলের আলমারিসহ অন্যান্য মালামাল নিয়ে যায়। বিভিন্ন ফ্লোরে ডুকে ভাঙা হয় সব দরজা, গ্লাসের বহিরাংশ। এরপর সবাই যে যা পারছে নিয়ে নামছে নিচে।
একই অবস্থা চোখে পড়ে ধানমন্ডির আওয়ামী লীগ সভাপতির কার্যালয় ও তেজগাঁও জেলা কার্যালয়েও। জেলা কার্যালয়ের চেয়ার, টেবিলসহ অন্যান্য আসবাবপত্র নিয়ে যায় আগেই। সকালে গিয়ে দেখা যায়, কিছু লোকজন পার্টিশন বোর্ড, পড়ে থাকা লোহা, কাচের টুকরো নিয়ে যাচ্ছে।
এছাড়াও ভবনটিতে থাকা লিফট পুড়ে ছাই হয়ে গেছে, অবশিষ্ট আছে শুধু লোহার স্ট্রাকচারটুকু। সেখানেও হাতুরি দিয়ে ভাঙার চেষ্টা করতে দেখা যায়।
এর আগে, সোমবার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে সাবেক সরকার প্রধান ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন। তার দেশত্যাগের খবরে আন্দোলনকারীদের রোষের মুখে পরে এসব স্থাপনা।
এদিন, দুপুরের পর ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়ি, বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় এবং ধানমন্ডি ৩ নম্বরে দলটির সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়, তেজগাঁও ঢাকা জেলা কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে আন্দোলনকারীরা।