গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী বলেছেন, পুলিশ যে পোশাক পরে সরকারি মদদে হত্যাযজ্ঞ, অত্যাচার, নিপীড়ন করেছে সেই পোশাকে পুলিশকে আর দেখতে চাই না। পুলিশকে নতুন পোশাকে জনবান্ধব রূপে দেখতে চাই। সকল আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে জনবান্ধব দেখতে চাই।
শনিবার (১০ আগস্ট) সন্ধ্যায় দেশের সাম্প্রতিক অবস্থা নিয়ে গণফোরামের যৌথসভা ও সাংগঠনিক বৈঠকে এসব কথা বলেন তিনি।
সুব্রত চৌধুরী বলেন, পুলিশকে শেখ হাসিনা পুলিশলীগ বানিয়ে আন্দলোনকারীদের দমনে এগিয়ে দিয়েছে। এসময় তিনি নিহত পুলিশ সদস্যদের প্রতি দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য তাদের ব্যবহার করেছে আওয়ামী লীগ সরকার। সংবিধান পরিপন্থী কাজ করে এখন শেখ হাসিনা পালিয়ে বেড়াচ্ছে। পুলিশ বাহিনীতে নিয়োগ দেওয়া সব ছাত্রলীগ নেতাও এখন পালিয়ে বেড়াচ্ছে।
তিনি বলেন, তরুণরা সংগ্রাম করে বিজয় এনেছে, এখন সকলের উচিত বিজয়কে সুসংহত করা। এক্ষেত্রে নতুন সরকারের অনেক দায়িত্ব। এসময় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সমর্থন জানিয়ে সংগঠনের পক্ষে সর্বাত্মক সহযোগিতা করার আশ্বাস দেন তিনি।
আন্দোলনকারীদের নতুন প্রজন্মের মুক্তিযোদ্ধা আখ্যায়িত করে তিনি বলেন, তাদের জন্য আগামীর পৃথিবী। তরুণ প্রজন্মের ভাষা উপলব্ধি করে তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠিত করতে হবে।
তিনি রাজনৈতিক দলগুলোকে নির্বাচনের জন্য ব্যতিব্যস্ত না হওয়ার আহবান জানিয়ে বলেন, নির্বাচনের জন্য এ আন্দোলন হয়নি। রাষ্ট্র সংস্কারের দরকার, গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলো পুনগঠন করা দরকার।
গণফোরামের দাবি যতদিন লাগে ততদিন নিয়ে কাজ করুক অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। নতুন প্রজন্মের তরুণরা যেমন সমাজ চায় সেভাবে মেরামত করুক রাষ্ট্রকে।
যৌথ সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি- অ্যাডভোকেট এ.কে.এম. জগলুল হায়দার আফ্রিক, অ্যাডভোকেট মহিউদ্দিন আব্দুল কাদেরসহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।