বন্যা প্লাবিত এলাকাকে 'উপদ্রুত এলাকা' হিসেবে ঘোষণা ,পানিবন্দি মানুষকে দ্রুত উদ্ধার, পর্যাপ্ত ত্রাণ, পুনর্বাসন এবং ভারতের পানি আগ্রাসন ও নতজানু নীতি পরিহার করার দাবিতে বরিশালে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল বাসদ।
শনিবার (২৪ আগস্ট) দুপুর ১ টার দিকে অশ্বিনী কুমার হলের সামনে এ বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল বাসদ বরিশাল জেলা শাখার সমন্বয়ক ডা. মনীষা চক্রবর্তীর সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্ট বরিশাল জেলা শাখার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি দুলাল মল্লিক, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট বরিশাল মহানগর শাখার সভাপতি বিজন সিকদার প্রমুখ। সমাবেশ পরিচালনা করেন বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল বাসদ বরিশাল জেলার সদস্য শহিদুল ইসলাম।
এ সময়ে বক্তারা বলেন, বন্যার্তদের রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে অতিদ্রুত উদ্ধার কাজ শুরু করে গণত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে। সাথে সাথে বন্যা কবলিত এলাকাগুলো চিহ্নিত করে 'উপদ্রুত এলাকা' ঘোষণা করে দীর্ঘমেয়াদি কার্যক্রমের পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে।
সমাবেশে বক্তারা আরও বলেন,বাংলাদেশ-ভারতকে যুক্ত করে ৫৪টি নদী বয়ে চলছে। ১৯৬৬ সালের আন্তর্জাতিক নদী আইন নীতিমালা অনুযায়ী নদীতে বাঁধ দেয়া যায় না। অথচ ভারত আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে প্রকৃতির গতিকে রোধ করেছে বাঁধের মাধ্যমে। এবারেও কোন পূর্বাভাস ছাড়া বাঁধের গেট খুলে দেয়ার কারণে এবারের বন্যা এত ক্ষয়ক্ষতির জন্ম দিয়েছে।
বক্তারা বলেন, ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানের ফলে পদত্যাগকৃত স্বৈরাচারী হাসিনা সরকার গদি রক্ষা ও ব্যক্তিগত নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য দেশের স্বার্থ উপেক্ষা করে নতজানু নীতিমালা গ্রহণ করেছিল। জনগণ প্রত্যাশা করছে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ভারতীয় পানি আগ্রাসন বিরুদ্ধে যথাযথ উদ্যোগ গ্রহণ করবে।