পোশাক শ্রমিকদের পরিবার নিয়ে বেঁচে থাকার জন্য ন্যূনতম মজুরি ২৫০ ডলার হওয়া উচিৎ বলে মন্তব্য করেছেন আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবিপার্টি) যুগ্ম সদস্যসচিব আসাদুজ্জামান ফুয়াদ। যা বর্তমান ডলার মূল্যে ২৯ হাজার ৯০২ টাকা।
বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বিকালে রাজধানীর বিজয়নগরে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ‘পতিত স্বৈরাচার মদদে শ্রমিক বিশৃঙ্খলায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের করণীয়’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।
আসাদুজ্জামান ফুয়াদ বলেন, বর্তমান বাজারের যা অবস্থা তাতে যদি শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ২৫০ ডলার দেয়া না হয় তার পক্ষে বেঁচে থাকা সম্ভব নয়। ১৪ থেকে ১৬ ঘণ্টা প্রতিদিন কাজ করার পরে যদি কেউ কমপক্ষে ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা বেতন না পায় তাহলে এই মানুষ পরিবার নিয়ে বেঁচে থাকা সম্ভব না। এই কারণে ওয়েজ বোর্ড আছে, শ্রম মন্ত্রণালয় আছে সব পক্ষ মিলে ৩ থেকে ৬ মাস পরপর বসা দরকার।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতির ভিত্তির এক নম্বরেই আছে পোশাক শিল্পখাত। রপ্তানি খাতের এই জায়গায় সারা বছর জুড়েই উত্তেজনা কাজ করে। সেখানে ন্যায্য বেতনের দাবি। ঈদের মৌসুমে এটা আরও বেশি গভীর সংকটে রূপ নেয়। কিছু দাবি যৌক্তিক, কিছু অযৌক্তিক। সময়টাও গুরুত্বপূর্ণ।
গাজী টায়ার্সে আগুন লাগিয়ে দেয়া নিয়ে আসাদুজ্জামান ফুয়াদ বলেন, রাজনৈতিক বিভেদ থাকলে রাজনৈতিক ভাবে মোকাবেলা করার দরকার। এই কারখানায় তো হাজার হাজার মানুষ কাজ করতো, এখানকার পণ্য দেশের বিশাল একটা অংশের চাহিদা পূরণ করতো। এই বিশাল সাপ্লাই চেইন নষ্ট করে অর্থনীতির ক্ষতি আমরা চাই না। রাজনৈতিক বিষয় রাজনৈতিকভাবে মামলা করেন কিন্তু এইভাবে পুড়িয় দেয়া আমরা সমর্থন করি না।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশে গণতন্ত্র না থাকার কারণে আমেরিকা জিএসপি সুবিধা বাতিল করে দিয়েছে। আমরা প্রফেসর ইউনূসকে বলছি, আপনার পরিচিতি ও কূটনীতিকে ব্যবহার করে জিএসপি সুবিধা নিয়ে আসেন। তাহলে এটা দেশের অর্থনীতির মোড় ঘুরিয়ে দিবে। আমাদের রপ্তানি দ্বিগুণ হয়ে একশো বিলিয়ন হয়ে যাবে।