সংস্কারের তালিকা দিতে হবে: ডা. শফিকুর রহমান

, রাজনীতি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2024-09-26 18:36:05

অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামের আমীর ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, আমরা বলছি একটা রোড ম্যাপে হবে না, দুইটা রোড ম্যাপ দিতে হবে। প্রথম রোড ম্যাপ হবে সংস্কারের। কি কি সংস্কার উনারা করবেন এবং তার টাইমলাইনটা কি হবে তার রোড ম্যাপ দিতে হবে। এটা যদি সঠিক হয় দ্বিতীয় রোডম্যাপটাও সফল হবে। না হলে কিছুই হবে না।

বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বিকালে আইডইবি ভবনে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ জামায়াতে ইসলামী আয়োজিত আইনজীবী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

তিনি বলেন, প্রথমটা ঠিক করার জন্য রাজনৈতিক স্টেক হোল্ডার, সিভিল সোসাইটি সহ অংশীদার যারা আছে তাদের সঙ্গে বসতে হবে। বসে সেটেল করতে হবে। ঐক্যমতে পৌঁছাতে হবে এবং এই টাইমলাইনের মধ্যে সংস্কার হতে হবে। এই কাজগুলা যদি তারা করেন তাহলে তাদের নাম ইতিহাসে স্বর্ণক্ষরে লেখা থাকবে ইনশাআল্লাহ।

সব প্রত্যাশা যদি একটা অনির্বাচিত সরকারই করে দেন তাইলে নির্বাচিত সরকারের দরকারটা কি প্রশ্ন রেখে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, কিন্তু সব প্রত্যাশা যদি একটা অনির্বাচিত সরকারই করে দেন তাইলে নির্বাচিত সরকারের দরকারটা কি? তারা কি পারবে? এটা তাদের জবও নয়, তারা পারবেনও না।

এখান থেকে যদি চুল পরিমাণ বিচ্যুতি যদি তাদের ঘটে তাহলে জাতির সর্বনাশ হবে উল্লেখ করে জামায়াতের আমীর বলেন, আমরা আশংকা থেকে বাঁচতে চাই, এবং আশাবাদী হয়ে বাঁচতে চাই। তাই আমরা দাবি জানাবো অনতিবিলম্বে তারা ডায়ালগ ওপেন করে এর একটা উপসংহারে উপনিত হবেন এবং সেভাবেই আগাবেন। যদি এইভাবে আগান তাহলে আমরা বিশ্বাস করি খুব বেশি সময়ের প্রয়োজন হবে না। এটা যখনই একটা পূর্ণতার পর্যায়ে পৌঁছে যাবে সাথে সাথে নির্বাচনের রোডম্যাপ দিয়ে দিতে হবে।

তিনি বলেন, যারা স্বৈরাচারের সাহায্যকারী ছিলো, সহযোগিতা করেছে তাদের কোনো নৈতিক অধিকার নেই রাষ্ট্রীয় কোন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে থেকে জাতিকে সেবা করার। তাদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনতে হবে তাহলে সামনে কেউ স্বৈরাচার হবে না, সে সাহসও পাবে না।

ডা. শফিকুর রহমান বলেন, গণহত্যাকারী যারা, মাস্টারমাইন্ড যারা, যারা গণহত্যা করেছেন তাদের প্রত্যেককে আইনের আওতায় আনতে হবে। প্রতিহিংসার রাজনীতি আমরা চাই না। আমরা আইনের শাসন চাই।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, একজনকে বলতে শোনতাম, আমি নারী, নারী হিসেবে অন্য নারীদের অসহায়ত্ব বুঝি। আমার বাবা-মাকে মেরে ফেলা হয়েছে, আমি বুঝি বাবা-মা হারানোর কষ্ট। কিন্তু তার কোনো প্রমাণ তো পেলাম না। তিনি শেষ পর্যন্তও খুনের নির্দেশ দিয়ে গেছেন।

এ সম্পর্কিত আরও খবর