আ.লীগ বিচারবহির্ভূত হত্যা চালু করেছে: শিবির সভাপতি

, রাজনীতি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম | 2024-10-03 21:46:46

ছাত্র-জনতার বুকে চালানো আ.লীগ বিচারবহির্ভূত হত্যা চালু করেছে বলে মন্তব্য করেছেন ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) রাত ৮টার দিকে চট্টগ্রামের লালদিঘি ময়দানে নগর (উত্তর) ছাত্রশিবির আয়োজিত সীরাতুন্নবী স. মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এমন মন্তব্য করেন।

শিবির সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলাম বলেন, আজকে মব জাস্টিসের কথা বলা হচ্ছে, আজকে বিচারবহির্ভূত হত্যার কথা আমরা শুনতে পাচ্ছি। অথচ এদেশে ইসলাম নিয়ে যারা কথা বলেছিল- জামায়াতের আমির মতিউর রহমান নিজামী, মীর কাশেম আলীসহ অনেককে বিচারিক কায়দায় অবৈধভাবে বিচারিক কিলিংয়ের মাধ্যমের হত্যা করে তারা (আ. লীগ) প্রমাণ করেছে, এদেশে তারাই প্রথম বিচারবহির্ভূত হত্যার যাত্রা শুরু করেছে।

'আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসনামলে এমন কোনো ঘটনা নেই, যে ঘটনার চিত্র এই জাতি দেখে নাই। আমরা দেখেছি এদেশের ছাত্র জনতার ওপর রাষ্ট্রীয় দমনপীড়ন, পৃথিবীর আর একটি দেশেও এমন নজির খুঁজে পাওয়া যাবে না। ঢাকার রাজপথে লাশ দেখেছি। পুরো দেশে নেট বন্ধ করে ছাত্রজনতাকে হত্যা করেছে ফ্যাসিস্ট সরকার।'

শিবির সভাপতি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ আমাদেরকে নিষিদ্ধ করতে এসেছিল, আজকে তাদের পরিণতি কী? তারা জাতির বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে নিজেরাই নিষিদ্ধ হয়ে গেছেন। বিগত দুঃশাসনকালে কেউ ইসলাম চর্চা হতে দেখিনি বরং আমরা এমন দৃশ্য দেখেছি- যারা কুরআন-হাদিসের কথা বলেছে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বয়স্ক আলেমদের পায়ে ডাণ্ডা বেডি পরিয়ে তাদেরকে কারাগার থেকে নিয়মিত আলতে উঠানো হয়েছে।

মঞ্জুরুল ইসলাম বলেন, অপশাসনের অবসানের পর এক অনিশ্চিত যাত্রা থেকে এ জাতি মুক্তির যে আলোর দিশা পেয়ে আজকে যে পথ চলছে, সেই আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছিল ইসলামি ছাত্রশিবির এবং এ দেশের ছাত্রজনতা। হাসিনা ফ্যাসিস্ট তার জুলুমে পাহাড়সম নির্যাতনে এ দেশের ছাত্রজনতার ও তাওহিদি জনতার ত্যাগ এবং মানুষের ত্যাগের বিনিময়ে আমার হাসিনা মুক্ত একটি দেশ পায়। তারা আমাদেরকে জুলুম করেছে। তারা ছিল জালেম। জালিমদের জন্য আল্লাহ দুনিয়াকে সঙ্কীর্ণ করে দেয়, যার প্রমাণ হাসিনা নিজেই।

শিবিরের চট্টগ্রাম মহানগর উত্তর শাখার সভাপতি ফখরুল ইসলামের সভাপতিত্বে প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদের খতিব সাইয়্যেদ আনোয়ার হোসাইন তাহের জাবিরী আল-মাদানী, প্রধান মুফাস্সির হিসেবে বক্তব্য রাখেন মুফতি আমির হামজা।

মাহফিলে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি মাওলানা মুহাম্মদ শাহজাহান, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী চট্টগ্রাম মহানগরীর আমীর শাহজাহান চৌধুরী, মহানগর উত্তরের সাবেক সভাপতি অধ্যক্ষ নুরুল আমিন প্রমুখ।

এ সম্পর্কিত আরও খবর