কোন সেক্টর কমান্ডারের নেতৃত্বে যুদ্ধ করেছেন, জামায়াতকে রিজভী

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম,সিলেট
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

সম্প্রতি জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমানের ‘দেশে পরীক্ষিত দেশপ্রেমিক শক্তি দুটি, একটি সেনাবাহিনী আরেকটি জামায়াত’ এমন বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ন মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে জামায়াতে ইসলামীর রাজনৈতিক ভূমিকা কি ছিল, কোন সেক্টর কমান্ডারের নেতৃত্বে যুদ্ধ করেছেন জাতি তা জানতে চায়। 

বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) দুপুরে সিলেট নগরীর হুমায়ুন রশীদ চত্বর এলাকায় আমরা বিএনপি পরিবারের পক্ষ থেকে যুব এশিয়া কাপ বিজয়ী ক্রিকেটার ইকবাল হোসেন ইমননের পরিবারকে শুভেচ্ছা উপহার প্রদানকালে এ কথা বলেন।

বিজ্ঞাপন

রিজভী বলেন, আজ একটি ইসলামিক রাজনৈতিক দল নিজেদেরকে একমাত্র দেশপ্রেমিক রাজনৈতিক দল ও সেনাবাহিনীকেই শুধু দেশপ্রেমিক বলে দাবি করে। সশস্ত্র বাহিনী সব সময় দেশপ্রেমের পরিচয় দিয়েছে। কিন্তু আপনারা নিজেদেরকে যে দেশপ্রেমিক দাবী করেন, আপনাদের কাছে আমার প্রশ্ন- ৭১'র মহান মুক্তিযুদ্ধে আপনাদের ভূমিকা কী ছিল, আপনারা কোন কোন সেক্টরে যুদ্ধ করেছেন? কোন সেক্টর কমান্ডারের নেতৃত্বে যুদ্ধ করেছেন? 

পাঠ্যপুস্তক সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘স্কুলে পাঠ্যবই সম্পূর্ণ সরবরাহ করা যায়নি, সেটা ভিন্ন ব্যাপার। কিন্তু সেখানে ইতিহাসের বইয়ে তারা কিছু কাজ করেছেন প্রকৃত ইতিহাস তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন। এখানে এই জাতির বিবেকবানদের জন্য যে অধ্যায় করা হয়েছে, তাতে আমরা দ্বিমত করছি না। সেখানে শেরে বাংলা একে ফজলুল হক, মজলুম জননেতা মাওলানা ভাসানী, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, স্বাধীনতার ঘোষক জিয়াউর রহমানের কথা বলা হয়েছে। কিন্তু স্বাধীনতার ঘোষণা থেকে মুক্তিযুদ্ধের অধ্যায় রাখা হলো না কেনো?’ 

বিজ্ঞাপন

রিজভী আরও বলেন, ‘জিয়াউর রহমান তো শুধু স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে শেষ হয় যাননি, যুদ্ধ করেছেন। মুক্তিযুদ্ধের অধ্যায় থাকবে না কেনো? যারা প্রবাসী সরকার হয়েছিলো, সেটা থাকবে, সেটার সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধের একটা অধ্যায় থাকতে হবে। যতটুকু হয়েছে তার জন্য ধন্যবাদ জানাই, কিন্তু অসম্পুর্ণ থাকবে কেনো?’

ইলিয়াস আলী প্রসঙ্গে তিনি বলেন, দেশের পক্ষে অবস্থান নিয়ে টিপাইমুখ অভিমুখে লংমার্চ করার কারণে হাসিনা তাকে নিরুদ্দেশ করে দিয়েছে। জুলাই-আগস্ট হত্যাকাণ্ডের বিচার এক বছরের মধ্য হবে। কিন্তু আমার প্রশ্ন হচ্ছে এম ইলিয়াস আলীকে যারা গুম করেছে তাদের বিচার কি হবে না? যারা বিগত সাড়ে ১৫ বছরে গণতান্ত্রিক আন্দোলন চলাকালে মানুষকে হত্যা করেছে তাদের বিচার কি হবে না? 

আমরা বিএনপি পরিবারের আহ্বায়ক আতিকুর রহমান রুমনের সভাপতিত্বে, সিলেট জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরী, মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইমদাদ হোসেন চৌধুরী ও কাতার বিএনপির সভাপতি শরিফুল হক সাজুর যৌথ সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন- বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক জিকে গউছ, সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী, আমরা বিএনপি পরিবারের উপদেষ্টা আশরাফ হোসেন বকুল, কেন্দ্রীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক কলিম উদ্দিন আহমদ মিলন ও মিফতাহ্ সিদ্দিকী, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মিজানুর রহমান চৌধুরী ও এম. নাসের রহমান, সিলেট মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রেজাউল হাসান কয়েস লোদী। 

অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- সিলেট জেলা বিএনপির যুগ্ন সম্পাদক তাজরুল ইসলাম তাজুল ও কুহিনূর আহমদ, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মনিরুল ইসলাম তোরন, সহ দপ্তর সম্পাদক মাহবুব আলম, মহাননগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্যসচিব আফসর খান, মহানগর ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ফজলে রাব্বি আফসান প্রমুখ। 

অনুষ্ঠানে তরুণ ক্রিকেটার ইকবাল হোসেন ইমনের পরিবারের হাতে দুটি ব্যাটারী চালিত অটোরিকশার চাবি হস্তান্তর করেন অতিথিবৃন্দ।