প্রধানমন্ত্রীর কথার বাস্তবায়ন দেখতে চাই: রিজভী

বিএনপি, রাজনীতি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা | 2023-08-24 16:23:31

‘আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করে মানবাধিকার রক্ষায় সরকার বদ্ধপরিকর। আমাদের বিচার বিভাগ যেনো স্বাধীনভাবে কাজ করে সেই স্বাধীনতাও আমরা বিচার বিভাগকে নিশ্চিত করে দিয়েছি, মানুষ যাতে ন্যায় বিচার পায় সেদিকে লক্ষ্য রেখে।’ মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া এ বক্তব্য টেনে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, আগামীকাল সর্বোচ্চ আদালতে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জামিনের শুনানিতে প্রধানমন্ত্রীর এই কথা ও অঙ্গীকারের বাস্তবায়ন দেখতে চাই।

বুধবার (১১ ডিসেম্বর) নয়াপল্টনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিন এ কথা বলেন।

রিজভী বলেন, আমরা সরকারকে বলবো-গুরুতর অসুস্থতায় ধুঁকছেন দেশনেত্রী। তাঁর জীবনহানির শঙ্কায় শঙ্কিত আমরা। গোটা দেশবাসী গভীর উদ্বেগ উৎকণ্ঠায় আছে। জামিন আটকে দিতে আদালতে নগ্ন হস্তক্ষেপ করবেন না। ন্যায়বিচারে বাধা দিবেন না।

ভারতের নাগরিক তালিকা প্রসঙ্গে বলেন, আসামে এনআরসির ফলে প্রায় ১৯ লাখ ভারতীয় নাগরিককে ‘বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী’ বলে ঘোষণা করা হয়েছিল। আর তখন সবাইকে অবাক করে দিয়েই, এই ১৯ লাখের মধ্যে প্রায় ১৪ লাখেরও বেশি হিন্দু সম্প্রদায়ের নাগরিককে ‘বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী’ বলেও ঘোষণা করা হয়েছিল। এখন এই বিতর্কিত নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পাশের ফলে সেই ১৪ লাখ হিন্দু সম্প্রদায়কে ভারতের নাগরিকত্ব দেওয়ার ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে এই ১৯ লাখের মধ্যে থেকে বাকি রইলো প্রায় ৫ লাখ মুসলিম। যাদেরকে ইতোমধ্যেই ‘বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী’ বলে ঘোষণা করা হয়েছে। আর এই বিল পাশের মাধ্যমে তাদেরকে নাগরিকহীন করে দেওয়া হলো। এটি ফ্যাসিবাদের নব্য সংস্করণ। এখন থেকে তারা ‘বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী’ বলে ভারতের মাটিতে অবৈধ হয়ে গেলো। এরপর তাদেরকে ডিটেনশন ক্যাম্পে ঢুকানো হবে। রাতারাতি ভারতের এই মুসলিম নাগরিকরা রাস্তার ফকিরে পরিণত হয়ে পরিবার-পরিজন নিয়ে ডিটেনশন ক্যাম্পের বদ্ধ কারাগারে থাকতে বাধ্য হবেন।

তিনি বলেন, ইতিমধ্যেই ভারত থেকে বাংলাদেশের সীমান্তে অবৈধভাবে ভারতীয় নাগরিকদের গণহারে পুশইন করা শুরু হয়ে গেছে। সীমান্তে বিজিবি কয়েক দফা এদেরকে গ্রেফতার করে জেলেও পাঠিয়েছে। যদিও পররাষ্ট্রমন্ত্রী আজ অবধি এটা জানেনই না বলে গণমাধ্যমে জানিয়েছেন! অন্যদিকে ভারতের নানা প্রান্ত থেকে ‘বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী’ আখ্যা দিয়ে অসংখ্য মুসলিম নারী-পুরুষদের আটক করে দলে দলে কলকাতায় নিয়ে এসে গোপনে ও জোর করে সীমান্ত পার করে দেওয়া হচ্ছে বলে মানবাধিকার সংগঠনগুলো অভিযোগ করছে। যা খোদ ভারতের সংবাদ মাধ্যমেই প্রকাশ পেয়েছে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর