বিএনপি হেরে যাওয়ার অজুহাত সৃষ্টি করছে: কাদের

আওয়ামী লীগ, রাজনীতি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা | 2023-09-01 04:26:42

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) নির্বাচন ত্রুটিযুক্ত ভাবার কোন কারণ নেই। এর আগে ইভিএম এ যত ভোট হয়েছে তাতে কোন ত্রুটি ধরা পড়েনি। আসলে বিএনপি হেরে যাওয়ার অজুহাত সৃষ্টি করছে।

মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) দুপুরে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সমসাময়িক ইস্যু নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।

বিএনপি মনোনীত প্রার্থী তাবিফ আউয়াল ইভিএমের ব্যবহার নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন? এমন প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, তাদের কে যে কোন কথা বলে বুঝি না তো। তাদের এক এক জন এক এক কথা বলে। তাদের নেতাদের মধ্যে বক্তব্যের মিল নেই, তারা এলোমেলো বলে যাচ্ছে। নেতিবাচক রাজনীতির কারণে তাদের দলের দুইজন সিনিয়র লিডার দল থেকেই চলে গেছেন। তাদের আসলে বক্তব্যের কোন মিল নেই। তারা বলেছেন শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে থাকবেন, তাহলে এতো সব কথা ওঠে কেন?

ইভিএম পদ্ধতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ইভিএম পদ্ধতিতে বাংলাদেশে যে সকল নির্বাচন হয়েছে তারমধ্যে কিন্তু বেশিরভাগই বিএনপি জয়লাভ করেছে। এজন্য তাদের হারানোর কিছু নেই। ইভিএম বেশি হলে তাদেরও তো বেশি করে জেতার সম্ভাবনা থাকতে পারে। নির্বাচনে ইভিএম ত্রুটিযুক্ত ভাবার কোন কারণ নেই। এরআগে আমাদের দেশে ইভিএম এ কোন ত্রুটি ধরা পড়েনি।

এসময় তিনি ভারতের উদাহরণ টেনে বলেন, ভারতেও এ নিয়ে অনেক বির্তক হয়েছে, নির্বাচন কমিশন অনেক বিশেষজ্ঞ নিয়ে বৈঠক করেছেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সবাই এটিকে সর্বাধুনিক তথ্য প্রযুক্তি ও টেম্পারিং করার কোন সুযোগ নেই বলে মত দিয়েছেন। ত্রুটিমুক্ত নির্বাচন করা সম্ভব। এ নিয়ে সন্দেহের কোন কারণ নেই।

তিনি বলেন, নির্বাচনের আগেই হেরে যাওয়া বিএনপির পুরনো অভ্যাস। তারা নানা অভিযোগ তুলে হেরে যাওয়ার অজুহাতগুলো সৃষ্টি করে। অজুহাতগুলো জনগণের সামনে তারা উত্থাপন করে। এমনও দেখা যায় নির্বাচনে তারা জিতে গেছে তারপরও সেই নির্বাচনের ভোট গণনা শেষ হওয়ার আগ পর্যন্ত তারা অবিরাম তাদের সেই তোতা পাখির মতো বুলি আওড়াতে থাকেন। নির্বাচন নিরপেক্ষ হয়নি। এসব কথা সিলেটেও বলেছে কিন্তু শেষ পর্যন্ত তারাই জিতেছে।

বিরোধী দলের আস্থা অর্জনে আগামী বছর কোন সুযোগ থাকবে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে কাদের বলেন, বিরোধী দল সভা সমাবেশ করতে পারবে। গণতন্ত্র চর্চা করতে পারবে। পার্লামেন্টের ভেতরে তাদের যথেষ্ট সুযোগ সুবিধা রয়েছে। বিরোধী দলের অধিকারের বিষয়টি নিয়ে স্পিকার যথেষ্ট উদার এবং সরকারের দৃষ্টিভঙ্গিও সেটা। বিরোধী দল শক্তিশালী হলে সরকার ও গণতন্ত্র শক্তিশালী হয়। বিরোধী দলের সভা সমাবেশের স্পেস নিয়ে আমরা কোন কার্পণ্য করছি না, পরবর্তিতে আরও তারা স্পেস পাবে।

তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, পৃথিবীর কোন দেশে বিরোধী দল সরকারের ওপর আস্থা রেখেছে? একটি দেশে, একটি বিরোধী দল দেখান? প্রতিবেশী দেশ ভারত থেকে শুরু করে পাকিস্তান, নেপাল, শ্রীলঙ্কা। কোন দেশে? আরও উন্নত গণতান্ত্রিক দেশে যান। আমেরিকাতে কি অবস্থা চলছে। হাউজ অব কমন্সে ট্রাম্পের অভিশংসনের প্রস্তাবই পাস হয়ে গেছে। সিনেটে অবশ্য হবে না। যেহেতু সিটে রিপাবলিকানরা মেজরিটি। তারপরেও এখানে কি আস্থা রাখার বিষয় আছে? সব বিরোধী দল সরকারের ওপর আস্থা রাখলে কি বিরোধী দলের রাজনীতি থাকে?’

এ সম্পর্কিত আরও খবর