মনে রাখতে হবে লিডার ইজ নেভার রঙ, লিডার ইজ অলওয়েজ কারেক্ট। সবার মতামত নিয়ে কাজ করব। তবে দেশ ও দলের স্বার্থে কিছু কিছু সিদ্ধান্ত নিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও বিরোধী দলীয় উপনেতা জিএম কাদের।
বৃহস্পতিবার (১ জানুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর বনানীতে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পার্টির ৩৫তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি নেতাকর্মীদের এ কথা স্মরণ করিয়ে দেন।
জিএম কাদের বলেন, নেতৃত্বের প্রতি অবিচল থাকতে হবে। নিজেদের শক্তিশালী করা হবে আমাদের আগামী দিনের রাজনীতি। জনগণ কী চায়, সে অনুযায়ী কাজ করতে হবে। যেখানে প্রতিবাদ কিংবা দাবির প্রয়োজন হবে, সেখানে সেভাবে কাজ করবেন। আমরা কেন্দ্রীয়ভাবেও সেভাবে কর্মসূচি দেব। আমরা দেশবাসীর চিন্তা করছি। আমরা যদি সবাই এক থাকি, তাহলে সব সম্ভব। আর নেতৃত্বের প্রতি অবিচল থাকতে হবে।
আমরা ২৭ বছর ক্ষমতার বাইরে, এ সময়ে অনেক চড়াই উতরাই পেরিয়ে যেতে হয়েছে। আওয়ামী লীগ ও বিএনপি কখনও এককভাবে, কখনও যৌথভাবে আমাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছে। আমরা কাউকে দোষ দেই না। প্রতিপক্ষ শক্তিশালী হলে হামলার শিকার হতে পারে। আমাদের শক্তি অর্জন করতে হবে। জাতীয় পার্টি জন্ম থেকে আজ পর্যন্ত দেশ ও জনগণের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে, যোগ করেন জিএম কাদের।
জাতীয় পার্টির নবজাগরণ সৃষ্টি হয়েছে উল্লেখ করে জিএম কাদের আরো বলেন, জনগণ আমাদের দিকে তাকিয়ে আছে। আমরা যে আলোয় উদ্ভাসিত করব, সে আলোয় আলোকিত হবে দেশ।
বক্তব্যের শুরুতে জিএম কাদের বলেন, মুজিব বর্ষের প্রতি স্বাগত জানাচ্ছি। ইতিহাস ও ঐতিহ্য আমাদের শিকড়, এটা ভুলে গেলে চলবে না।
জাতীয় পার্টির সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেন, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য জাতীয় পার্টির জন্ম হয়েছিল। ১৯৮৪ সালে নির্বাচন দিয়ে ব্যারাকে ফিরে যেতে চেয়েছিলেন। কিন্তু সেদিন রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচন বর্জন করায় গণতন্ত্রের জন্য জাপার জন্ম। জাপা শুধু গণতন্ত্রের পার্টি নয়, মানু্ষের ভাগ্য উন্নয়নের পার্টি। আমরা ক্ষমতায় যাব, যদি আমাদের মধ্যে শৃঙ্খলা ও ঐক্য থাকে। আর যদি মানুষের কাছে যেতে পারি, মানুষ পরিবর্তন চায়।
জাতীয় পার্টির মহাসচিব মসিউর রহমান বলেন, আগের দিনে সব কিছু ধুয়ে মুছে নতুন করে জাতীয় পার্টিকে শক্তিশালী করতে চাই। পার্টিকে ক্ষমতায় নিতে চাই। সংগঠন শক্তিশালী না হলে দুই পয়সার দাম নেই আপনার। মনে রাখবেন, দুর্বলের সঙ্গে কেউ হাত মেলায় না।
অন্যদের মধ্য উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার এমপি আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার, এমপি কাজী ফিরোজ রশীদ, জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু, এমপি সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, এমপি অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম সিনিয়র নেতা অধ্যাপক দেলোয়ার হোসেন খান, অতিরিক্ত মহাসচিব সাহিদুর রহমান টেপা, অ্যাডভোকেট রেজাউল ইসলাম ভূইয়া, এমপি লিয়াকত হোসেন খোকা ও ঢাকা উত্তর জাতীয় পার্টির সভাপতি এসএম ফয়সল চিশতী।
শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন জাতীয় ছাত্র সমাজের সভাপতি ইব্রাহিম খান জুয়েল।