২০৪০ সালের মধ্যে ভারতীয় নভোচারীবাহী মহাশূন্যযান চাঁদে যাবে বলে জানিয়েছেন ভারতের মহাশূন্য গবেষণা প্রতিষ্ঠান- ইসরো-র (ইন্ডিয়ান স্পেস রিসার্চ অর্গানাইজেশন) চেয়ারম্যান এস সোমনাথ।
সেইসঙ্গে চন্দ্রায়ন-৪ অভিযানের মাধ্যমে চীনের মতো চাঁদের দক্ষিণ মেরুর অন্ধকার প্রান্তের পাথর সংগ্রহ করবে ভারত। চীনের আগে ইসরোর একট নভেযান চাঁদের দক্ষিণ মেরুর অন্ধকার প্রান্তের কাছাকাছি এলাকায় অবতরণ করতে সক্ষম হয়।
শনিবার (২৯ জুন) ভারতের বেসরকারি টিভি চ্যানেল এনডিটিভি’র (নয়াদিল্লি টিভি চ্যানেল) সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে এ সব তথ্য জানান ইসরো প্রধান।
এস সোমনাথ বলেন, ভারতের সর্বশেষ ‘চন্দ্রায়ন-৩’ চাঁদের দক্ষিণ মেরুর চির অন্ধকার প্রান্তে সফলভাবে অবতরণ করে ইতিহাস সৃষ্টি করেছে। এর পর ২০৪০ সালের মধ্যে মনুষ্যবাহী নভেযান চাঁদে পাঠানো হবে।
ইসরো প্রধান বলেন, ‘গগনায়ন’ নামে ইসরো একটি অভিযান হাতে নিয়েছে। এর মাধ্যমে মনুষ্যবাহী নভোযান পৃথিবীর ভূপৃষ্ঠ থেকে ৪শ কিলোমিটার উঁচুতে পৃথিবীর কক্ষপথে আবর্তন করবে। একদিনের অভিযান শেষে মনুষ্যবাহী নভোযানটি ভারতের জলে অবতরণ করবে।
ইতোমধ্যে, এ বিষয়ে কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছে। কয়েক বছরের মধ্যে মনুষ্যবাহী যান পৃথিবীর কক্ষপথে পরিভ্রমণ করবে। এ জন্য চারজন নভোচারীকে নির্বাচন করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ইসরো’র ‘চন্দ্রায়ন-৩’ চাঁদের যে অন্ধকার প্রান্তে অবতরণ করেছিল, সেই ‘শিবশক্তি’ পয়েন্ট থেকে চাঁদের নমুনা নিয়ে ফের ভারতে ফিরে আসবে ‘চন্দ্রায়ন-৪’। কয়েক বছরের মধ্যে এ অভিযান পরিচালনা করা হবে।
এসময় তিনি আরো বলেন, এ জন্য আমাদের সামনে বেশকিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে। তাহলো- সফরওয়্যার তৈরি, নভোযানকে নির্দেশনা ইত্যাদি।
একবার যদি চাঁদের নমুনা আনা সম্ভবপর হয়, তাহলে মনুষ্যবাহী নভোযান পাঠানো আরো নিরাপদভাবে পরিকল্পনা করা সম্ভবপর হবে বলে জানান ইসরো প্রধান এস সোমনাথ। তবে তিনি বলেন, এ অভিযান অবশ্যই জটিল একটি প্রক্রিয়া।
এক প্রশ্নের জবাবে সোমনাথ বলেন, ‘চন্দ্রায়ন-৩’ যেখানে সফলভাবে অবতরণ করেছে, সেটি বেশ একটি মজার জায়গা। এ অভিযানের সবকিছু এখনো চলমান। এ জন্য নতুন করে নভোযান তৈরিতে হাত দিয়েছে ইসরো। মনুষ্যবাহী নভোযানের আকার হবে বেশ বড় এবং এর নাম দেওয়া হয়েছে- ‘সূর্য’।