এই প্রথম পেশাদার নভোচারী না হয়েও পৃথিবীর বাইরে গিয়ে মহাশূন্য থেকে অবাক চোখে দেখেছেন মানুষের নীলগ্রহকে।
তারা স্পেসশিপ ‘স্পেসএক্স পোলারিশ ডন’-র মাধ্যমে পৃথিবীর বাইরে মহাশূন্যে অবস্থান করে বিস্ময়ের সঙ্গে দেখেছেন নিজের গ্রহ পৃথিবীকে।
এক ঘণ্টা ধরে তারা স্পেসশিপের বাইরে থেকে মহাশূন্য ও পৃথিবীকে অবলোকন করেন।
এই স্পেসএক্স পোলারিস ডন-এ মোট চারজন যাত্রী ছিলেন। এর মধ্যে দুই মার্কিন বিলিনিয়র এবং বাকি দুইজন স্পেসশিপের নভোচারী।
মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) তারা ৫ দিনের যাত্রায় মহাশূন্যে যাত্রা করেন এবং শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) পৃথিবীতে ফিরে আসবেন। বৃহস্পতিবার তারা স্পেসশিপের ক্যাপসুলের বাইরে বের হয়ে নীলগ্রহ পৃথিবীকে দেখেন।
বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) বিবিসি, রয়টার্স, আলজাজিরাসহ আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সাধারণ নভোচারীদের মহাশূন্যে হাঁটার দৃশ্য লাইভ সম্প্রচার করে।
যখন মিশন কমান্ডার বিলিয়নিয়র জ্যারেড আইজ্যাকম্যান ক্যাপসুলের দরজা খুলে নিজের শরীরের কিছু অংশ বের করে পৃথিবীর দিকে তাকান, তখন পৃথিবী পৃষ্ঠ থেকে ৭শ ৫৭ কিলোমিটার উচ্চতায় (৪শ ৫৭ মাইল) স্পেসএক্স পোলারিস ডন ঘণ্টায় ২৫ হাজার কিলোমিটার (১৫ হাজার ৫শ মাইল) গতিতে ঘুরছিল।
তাকে দেখে পৃথিবী থেকে যারা সম্প্রচার দেখছিলেন, তারা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন।
জ্যারেড আইজ্যাকম্যানের পর স্পেসএক্স ইঞ্জিনিয়ার সারাহ গিলিস একইভাবে স্পেসশিপের বাইরে এসে পৃথিবীকে দেখেন। এ সময় তাদের দুজনের পরনে ছিল মহাশূন্যে নভোচারীদের জন্য বিশেষভাবে তৈরি স্পেসস্যুট।
স্পেসএক্স পোলারিস ডনের ভেতরে নভোচারী হিসেবে ছিলেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এয়ার ফোর্সের কমান্ডার স্কট ‘কিড’ এবং স্পেসএক্স ইঞ্জিনিয়ার ও মেডিকেল কর্মকর্তা আন্না মেনন।
জানা গেছে, নভোচারীদের কারো মধ্যেই মহাশূন্যে ভ্রমণজনিত অসুস্থতার কোনো লক্ষণ দেখা যায়নি। এই স্পেসএক্স পোলারিস ডন ছিল কোনো রাষ্ট্রীয় মহাশূন্য সংস্থার বাইরে বাণিজ্যিক ভ্রমণ।