মাশরাফি বিন মুর্তজা ও তার ছেলে সাহেলের জন্মদিন একই তারিখে, ৫ অক্টোবর। পারিবারিক চিন্তা চেতনাকে সন্মান জানানোর এক প্রেক্ষাপটের কারণে মাশরাফি কখনোই আনুষ্ঠানিকভাবে জন্মদিন পালন বা কেক কাটেন না। বাংলাদেশ ক্রিকেটের সেরা অধিনায়কের এই সিদ্ধান্তকে মিডিয়াও সব সময় সন্মান জানিয়ে আসছে। সম্ভবত এবারই প্রথম মাশরাফি তার জন্মদিনে ফেসবুকে কোন মন্তব্য পোস্ট করলেন। তবে এই পোস্টের পুরোটা জুড়েই মাশরাফি লিখেছেন তার শিশুপুত্র সাহেলকে ঘিরে।
ছেলে ধীরে ধীরে বড় হচ্ছে। বাবা মাশরাফি সেই আনন্দ উপভোগ করছেন। ছেলেকে শেখাচ্ছেন। সেই সুন্দর সময়ের ছবিটাই মাশরাফি এঁকেছেন ফেসবুকে। মাশরাফির সেই আবেগ মন্থিত স্ট্যাটাসের পুরোটাই এখানে-
"সাহেল তোর শরীরের গন্ধ এখনও আমার নাকে পৃথিবীর সেরা সুগন্ধি, তোর প্রতিদিনের বেড়ে ওঠা আমার চোখে বিস্বয়। তুই যখন জড়িয়ে ধরিস আমাকে আমি স্থির হয়ে যাই। এই দিনে তুই পৃথিবীতে এসেছিলি তাই এই দিনটি তোর মার এবং আমার কাছে বিশেষ দিন।
তোর জন্মের সময় আমি খেলতে বাহিরে ছিলাম,জন্মের পরও তেমন সময় দিতে পারিনি, আজও নানা কাজে ব্যাস্ত থেকে পারিনা। তোকে কি শিখাতে পারছি তাও জানিনা।
আল্লাহর কাছে এই দোয়া করি তোর জীবনটা অনেক বড় হোক যাতে এই পৃথিবীটাকে তুই উপভোগ করতে পারিস আপন মহিমায়। একজন ভালো মানুষ হয়ে বেড়ে উঠবি এই আশায় আছি।
আজ তোর বাপের ও জন্মদিন,তুই যতো দিন পৃথিবীতে থাকবি এই দিনটায় তোর আমাকে মনে পড়বে যেখানেই থাকিস না কেন, দারুণ লাগে এটা ভাবতে।
মানুষকে ভালোবেসে আর মানুষের ভালোবাসার ভেতর বেঁচে থাক অনন্তকাল।
শুভ জন্মদিন বাবা। ইনশাল্লাহ বড় হয়ে আমাকে তোর বাপের মতো করে এই দিনে সময় দিস। ভুলে যাসনে কিন্তু!
আল্লাহ আমাকে আর তোকে বাঁচায় রাখলে আমি কিন্তু আশায় থাকবো .......।"
এদিকে জীবনসঙ্গী ও ছেলের একইদিনে জন্মদিনের উৎসব আয়োজনে দিনটা ব্যস্ততায় কাটে মিসেস মাশরাফির। হবিগঞ্জের রিসোর্টে বাবা-ছেলের জন্মদিন পালন হয় ঘরোয়া পরিবেশে।
বাবা মাশরাফি ও ছেলে সাহেল একই ডিজাইনের পাঞ্জাবি পরে এই আয়োজনে অংশ নেন।
জন্মদিনের কেকে লেখা ছিল- শুভ জন্মদিন বাপ বেটা!