অচলাবস্থার অবসান, হাইব্রিড মডেলে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি
আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি নিয়ে অচলাবস্থার অবসান হয়েছে। অবশেশে চূড়ান্ত সমঝোতার দেখা মিলল। আট দলের এই টুর্নামেন্টে ভারতের ম্যাচগুলো নিরপেক্ষ ভেন্যুতেই অনুষ্ঠিত হবে। হাইব্রিড মডেল নিয়ে আপত্তিও শেষ। একইসঙ্গে এটিও জানা গেল-ভারতে অনুষ্ঠিত আগামী আইসিসি ইভেন্টগুলোতে পাকিস্তানের বিপক্ষে ভারতের ম্যাচগুলোও হবে নিরপেক্ষ ভেন্যুতে।
আজ বৃহস্পতিবার আইসিসির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
২০২৪-২৭ চক্রের সব আইসিসি টুর্নামেন্টে ভারত ও পাকিস্তান অপর দেশ আয়োজিত টুর্নামেন্টে নিজেদের ম্যাচ খেলবে নিরপেক্ষ ভেন্যুতে। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) আয়োজিত ২০২৫ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি দিয়ে শুরু হবে এই হাইব্রিড চক্রের।
এমনটা করতে বাধ্য হয়েছে আইসিসি। কারণ ভারত ও পাকিস্তানের অনড় অবস্থানের কারণে এছাড়া কোন উপায় ছিল না। আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি-মার্চে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আয়োজক পিসিবি। কিন্তু ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই) আইসিসিকে সাফ জানিয়ে দেয়, দেশটির সরকার পাকিস্তানে দল পাঠাবে না।
এমন অনঢ় অবস্থায় পিসিবিও জানিয়ে দেয়- ভারতীয় ক্রিকেট দল পাকিস্তানে না এলে পাকিস্তানও ভারতে খেলতে যাবে না। এই যখন অবস্থা তখন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির নিয়েও দেখা দেয় শঙ্কা। শেষ অব্দি এবার এসে আইসিসি জানাল ভারতের ম্যাচগুলো নিরপেক্ষ ভেন্যুতে হবে।
আজ প্রকাশিত আইসিসির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সামনের চারটি আইসিসি ইভেন্টে ভারত ও পাকিস্তান একে অপরের দেশে যাবে না। পাকিস্তান আয়োজিত দুটি টুর্নামেন্ট হলো ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারি-মার্চে অনুষ্ঠেয় চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ও ২০২৮ নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। আবার ভারত আয়োজিত দুটি টুর্নামেন্ট হলো ২০২৫ সালের আইসিসি নারী ওয়ানডে ক্রিকেট বিশ্বকাপ এবং ২০২৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ।
অবশ্য সেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারতের সঙ্গে যৌথ আয়োজক শ্রীলঙ্কা। পাকিস্তানের ম্যাচগুলো রাখা হবে শ্রীলঙ্কাতেই। ক্ষতিপূরণ ও ত্রিদেশীয় সিরিজের বিষয়ে কিছু জানানো না হলেও পাকিস্তানকে ২০২৮-৩১ চক্র থেকে নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজনের স্বত্ব দেওয়া হয়েছে।
একইসঙ্গে জানা গেছে-নিরপেক্ষ ভেন্যু চূড়ান্ত হবে আয়োজক বোর্ডের প্রস্তাব ও আইসিসির অনুমোদনের পরই। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির জন্য নিরপেক্ষে ভেন্যু হিসেবে আছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের নাম। লড়াইয়ে আছে শ্রীলঙ্কায়ও!
এর আগে ২০২৩ এশিয়া কাপ হাইব্রিড মডেলে পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠিত হয়েছিল। ভারত তাদের ক্রিকেট দলকে পাকিস্তানে পাঠাতে রাজি না হওয়ায় পিসিবির টুর্নামেন্টের বেশির ভাগ ম্যাচ হয় শ্রীলঙ্কায়।