ওপেনিং জুটিতে ২৭ রান উঠলো। তারপরই ধসের শুরু। সেই ধস যখন থামলো তখন ফরচুন বরিশালের যোগাড় ম্যাচে মাত্র ১০৮ রান। টি-টোয়েন্টিতে বলের চেয়ে কম রানের স্কোরকে সত্যিকার অর্থে কোন ‘স্কোর’ মানা হয় না। বেক্সিমকো ঢাকার বিরুদ্ধে সেই অনুল্লেখ্য একটা স্কোর দাঁড় করালো বরিশাল।
দলের ১০৮ রানের মধ্যে অধিনায়ক তামিম ইকবালের সংগ্রহ ৩১ রান। ৩১ বলে ৩১ রান করে ফিরেন তামিম। মিডলঅর্ডারে তৌহিদ হৃদয়ও করলেন ৩৩ বলে ৩৩। সেই কল্যাণেই কোনোমতে বরিশালের স্কোর তিন অঙ্কে গিয়ে পৌঁছাল। দলের সাত ব্যাটসম্যানের সংগ্রহ সিঙ্গেল ডিজিটে।
ঢাকা এই ম্যাচে ছয়জন বোলারকে ব্যবহার করে। উইকেট শিকারে সেরা ছিলেন রবিউল ইসলাম রবি। ৪ ওভারে ২০ রান খরচায় তার শিকার ৪ উইকেট। আর রান কৃপণতায় স্পিনার নাঈম হাসান ছিলেন সবাইকে ছাড়িয়ে। ৪ ওভারে ১ মেডেনসহ মাত্র ৮ রানে নাঈম তুলে নেন ১ উইকেট। তার ২৪ বলের মধ্যে ১৮ বলই ডট!
স্পিনারদের মতো ঢাকার পেসাররাও এই ম্যাচে ভাল পারফরমেন্স দেখান। শফিউলের ৩ ওভারের মধ্যে দুটিই মেডেন। ১০ রানে তার শিকার ২ উইকেট।
মিরপুরের এই ম্যাচে উইকেট বেশ স্লো এবং স্পিন সহায়ক। কিন্তু তারপরও ১২০ বলে ম্যাচ জেতার জন্য ১০৯ রান ঢাকার জন্য নিশ্চয়ই তেমন কষ্টের কাজ নয়?
বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপে এটি ঢাকা-বরিশাল দ্বিতীয় মোকাবেলা। প্রথম দেখায় বরিশাল ২ রানে হারিয়েছিল ঢাকাকে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ফরচুন বরিশাল: ১০৮/৮ (২০ ওভারে, তামিম ৩১, তৌহিদ হৃদয় ৩৩, রবিউল ৪/২০, নাঈম ১/৮, শফিউল ২/১০)।