করোনা প্রতিরোধী টিকা না নিলেও ছাড় পেয়েছিলেন নোভাক জোকোভিচ। পেয়ে যান অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে খেলার অনুমতি। টেনিস অস্ট্রেলিয়া জোকোভিচকে অনুমতি দিয়েছিল ভিক্টোরিয়ার রাজ্য সরকারের নীতি মেনে।
শুরুতে জোকোভিচের ছাড়ের পক্ষে ছিলেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন। কিন্তু জোকোভিচের জন্য বিশেষ ছাড়ের বিষয়টি মেনে নিতে পারেনি সবাই। অস্ট্রেলিয়ার জনসাধারণরা ক্ষোভ জানায়।
এরপরই মত পাল্টে ফেলেন মরিসন। জোকোভিচকে ছাড়ের বিষয়ে বিপক্ষে মত দেন। জানান, নিয়ম তো নিয়মই। ক্যানবেরা সরকার ভিক্টোরিয়ার নীতি অনুসরণ করে না। দেশের বর্ডার নিয়ন্ত্রণ করে কেন্দ্রীয় সরকার। ফেডারেল নীতিও ভিক্টোরিয়ার চেয়ে সম্পূর্ণ আলাদা। দেশটিতে কাউকে ঢুকতে হলে তাকে দুই ডোজ করোনা প্রতিরোধী টিকা নিতেই হবে। অন্যথায় ১৪ দিন কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে।
এজন্য অনেকে অভিযোগ করেন, জোকোভিচের বিষয়টি নিয়ে রাজনীতি করছেন মরিসন। কেননা আগামী মে মাসেই অস্ট্রেলিয়ার কেন্দ্রীয় সরকারের নির্বাচন। তারওপর করোনার প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় চাপে আছেন মরিসন।
বৃহস্পতিবার মেলবোর্নের টুলামারিন বিমানবন্দরে পৌঁছলে বিশ্বের নাম্বার ওয়ান খেলোয়াড়কে আটকে দেয় কর্তৃপক্ষ। সার্বিয়ান এ সুপারস্টারের ভিসা বাতিল করে দেশটি। অস্ট্রেলিয়ান বর্ডার ফোর্স (এবিএফ) অফিসিয়ালরা জানিয়ে দেন, জোকোভিচকে অস্ট্রেলিয়া ছাড়তে হবে।
দেশটিতে প্রবেশের শর্ত না মানায় এখন জোকোভিচকে ফেরত পাঠাবে অস্ট্রেলিয়া। টেনিস সুপারস্টার রয়েছেন এখন সরকার নির্ধারিত একটি ডিটেনশন হোটেলে।
তবে হাল ছাড়েননি জোকোভিচ। আইনজীবীদের মাধ্যমে কোর্টে জরুরি ভিত্তিতে আপিল করেছেন। 'অস্ট্রেলিয়ার ফেডারেল কোর্ট অব সার্কিট এন্ড ফ্যামিলি'তে মামলার শুনানি হবে আগামী সোমবার। এত দিন জোকোভিচ অস্ট্রেলিয়ায় থাকতে পারবেন। এটা এখনো পরিষ্কার নয়, আগামী কয়েক দিন সরকারের ডিটেনশন সেন্টারে থাকবেন কিনা।
এ বিষয়ে এখনো কোনো মন্তব্য করেননি জোকোভিচ। তবে এটা এখনো পরিষ্কার নয়, অস্ট্রেলিয়ায় থাকার অনুমতি পেলে বছরের প্রথম গ্র্যান্ড স্ল্যাম আসরটিতে বিশ্বের নাম্বার ওয়ান খেলোয়াড় অংশ নিবেন কিনা।
তবে অস্ট্রেলিয়ার গণমাধ্যম জানিয়েছে, জোকোভিচের ক্যাম্প হঠাৎ তার ভিসা বাতিল করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। তাদের রাগের কারণ, অন্য তিন অপরিচিত খেলোয়াড় বিশেষ ছাড় নিয়ে অস্ট্রেলিয়ায় প্রবেশ করলেও জোকোভিচের বেলায় দেখানো হচ্ছে অন্য নিয়ম।
করোনার টিকা নেয়ার বিষয়টি পরিষ্কার করেননি জোকোভিচ। গত বছর অবশ্য করোনার টিকা নেয়ার বিরুদ্ধে অবস্থান নেন তিনি।