বিশ্বকাপের দামামা বেজে গিয়েছে। দিন দুয়েক পরই শুরু হতে চলেছে বিশ্ব ফুটবলের সব থেকে বড় টুর্নামেন্ট। এ বারের বিশ্বকাপকে ঘিরে ফুটবল বিশ্বের উন্মাদনা একে বারেই অন্য উচ্চতায় পৌঁছিয়েছে। লিওনেল মেসি, ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো, নেইমার, কিলিয়ান এমবাপের মতো হাইপ্রোফাইল তারকাদের দ্বৈরথের কোন দেশ শেষ পর্যন্ত বাজিমাত করে সেই দিকে নজর রয়েছে গোটা বিশ্বের।
এবারের বিশ্বকাপে সব জরিপে চ্যাম্পিয়নের দৌড়ে এগিয়ে রাখছে ব্রাজিল। বিশেষ করে দলগত ফুটবলের বিচারে ব্রাজিল এগিয়ে। নেইমার থাকলেও টিম গেমই এই ব্রাজিল দলের মূল শক্তি। ব্রাজিল দলে নেইমারের বাইরে যারা নিজের দিনে একক প্রয়াসে দলকে উতরে দিতে পারেন। এই প্রতিবেদনে নজর রাখুন তাদের দিকেই।
নেইমার
ব্রাজিল দলের প্রধান তারকা নেইমার। প্যারিস সাঁ জাঁ-এর জার্সিতে চলতি মরসুমে দুর্ধর্ষ ফর্মে রয়েছে নেইমার। গোল করা বা করানোর দিক দিয়ে তার ধারের কাছে নেই কোনও ব্রাজিলীয় ফুটবলার। ক্লাব ফুটবলে যেমন দাপিয়ে খেলেছেন তেমনই দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন লিগা ওয়ান এবং চ্যাম্পিয়ন্স লিগে। ২০১৮ বিশ্বকাপে ব্রাজিলের হয়ে ৫ ম্যাচে ২ গোল করেছিলেন নেইমার, ২০১৪ বিশ্বকাপে করেছিলেন ৫ ম্যাচে ৪ গোল। এ বারের বিশ্বকাপে নেইমারের দিকে নজর রাখতেই হবে।
এলিসন বেকার
ব্রাজিলের ডিফেন্সের শেষ প্রহরী এলিসনের দিকে নজর রাখতে হবে এই বিশ্বকাপে। ৩০ বছর বয়সী এই গোলরক্ষক দেশের জার্সিতে ৫৬টি ম্যাচ খেলেছেন। ম্যানচেস্টার সিটির এডারসন এবং পালমেইরাসের ওয়েভারর্টন দলে সুযোগ পেলেও প্রথম পছন্দের গোলরক্ষক এলিসন-ই। অভিজ্ঞতার দিক দিয়েও বাকি দুইয়ের থেকে এগিয়ে তিনি। ক্লাব ফুটবলে সম্প্রতিকালে লিভারপুলের সাফল্যের অন্যতম কাণ্ডারী এলিসন।
গ্যাব্রিয়াল জেসুস
নেইমারের পর যদি গোলের জন্য কোনও ফুটবলাররের দিকে ব্রাজিলীয় সমর্থকেরা তাকিয়ে থাকেন তা হলে সেই ফুটবলারটির নাম গ্যাব্রিয়াল জেসুস। ম্যানচেস্টার সিটি থেকে আর্সেনালে সই করা জেসুস ২৫ বছর বয়সেই ব্রাজিলের হয়ে ৫৬টি ম্যাচে প্রতিনিধিত্ব করেছেন। এই ম্যাচেও তাঁর দিকে নজর থাকবে সাফল্যের লক্ষ্যে। ব্রাজিলের হয়ে ৫৬ ম্যাচে ১৯ গোল করেছেন তিনি।
ড্যানি আলভেজ
ব্রাজিলের বিশ্বকাপের যে স্কোয়াড ঘোষণা হয়েছে সেই স্কোয়াডের বয়স্কতম ফুটবলার ড্যানি আলভেজ। ৩৯ বছর বয়সেও ক্লাব ফুটবলে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন পুমাস ইউনামের এই লেফট ব্যাক। লেফট ব্যাকের ফুটবলার হলেও যে কোনও সময় গোল দেওয়ার ক্ষমতা রাখেন আলভেজ। তাঁর ওভার ল্যাপ এবং বিষ মাখানো সেন্টারগুলো এখনও অনেক তরুণ ফুটবলারের শিক্ষার বিষয়। গোলের পাস বাড়ানোর ক্ষেত্রে এখনও তিনি একই রকম কার্যকরী। ১২৫টি ম্যাচ ব্রাজিলের হয়ে খেলেছেন আলভেজ।
ক্যাসেমিরো
রিয়াল মাদ্রিদ ছেড়ে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে সই করেছেন ক্যাসেমিরো। মূলত ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার হিসেবে খেললেও মাঝে মধ্যেই প্রতিপক্ষের জালে বল জড়ানোর সহজাত দক্ষতা রয়েছে তার মধ্যে। মাঝমাঠকে শক্তিশালী করা এই ফুটবলারটি দলে থাকার অর্থ ডিফেন্সকে অনেকটাই নির্ভরতা দেওয়া। কারণ ক্যাসেমিরোর ব্লকিং ভেদ করে ব্রাজিলের ডিফেন্সিভ অঞ্চে প্রতিপক্ষের আক্রমণ সাজানোটা অনেকটাই কঠিন।