টিমোথি উইয়াহ; যুক্তরাষ্ট্রের ফুটবলার। ক্যারিয়ারের প্রথম বিশ্বকাপ খেলতে নেমেছিলেন কাল, ওয়েলসের বিপক্ষে। করেছেন গোল। তার গোলে দল জিততে না পারলেও হারেনি। ম্যাচ শেষ হয়েছে ১-১ গোলের সমতায়।
টিমোথি উইয়াহর আরেক পরিচয়, তিনি আফ্রিকার দেশ লাইবেরিয়ার প্রেসিডেন্ট জর্জ উইয়াহর ছেলে। জর্জ উইয়াহকে অবশ্য লাইবেরিয়ার প্রেসিডেন্ট হিসেবে পরিচয় দেওয়ার সুযোগ কম, কারণ কিংবদন্তি এক ফুটবলার তিনি।
খেলোয়াড়ি জীবনে ইউরোপের বড় বড় ক্লাবে খেলেছেন জর্জ উইয়াহ। আফ্রিকার প্রথম এবং এখন পর্যন্ত একমাত্র ব্যালন ডি'অর জেতা ফুটবলার জর্জ উইয়াহ।
পেশাগত জীবনে মোনাকো, মার্সেই, পিএসজি, এসি মিলান, ম্যানচেস্টার সিটি, চেলসিসহ ইউরোপের ক্লাবগুলোতে খেলেছেন জর্জ উইয়াহ। ব্যালন ডি'অর পুরস্কার জিতেছেন ১৯৯৫-এ। ফিফা প্লেয়ার অব দ্য ইয়ারে ভুষিত হয়েছেন ১৯৯৫ ও ১৯৯৬ সালে। তবে তার দেশ লাইবেরিয়া বিশ্বকাপের বাছাইপর্ব টপকাতে পারেনি বলে খেলা হয়নি বিশ্বকাপ। অপূর্ণ থেকে গেছে বিশ্বকাপ খেলার স্বপ্ন।
ফুটবল ক্যারিয়ার শেষে জর্জ উইয়াহ কিছুদিন ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রে। সেখানেই জন্ম হয় ছেলে টিমোথি উইয়াহর। বাবা জর্জ উইয়াহ লাইবেরিয়ায় ফিরে গেলেও ছেলেকে রেখে যান যুক্তরাষ্ট্রে। জর্জ উইয়াহ হয়েছেন লাইবেরিয়ার প্রেসিডেন্ট, ছেলে টিমোথি উইয়াহ হয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের ফুটবলার।
২০১০ সালে ১০ বছর বয়সে জোহানেসবার্গে বিশ্বকাপের ফাইনালে বাবা জর্জ উইয়াহর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন টিমোথি উইয়াহ। এক যুগ পর বিশ্বকাপে নিজের অভিষেক ম্যাচেই করলেন গোল। ওয়েলসের বিপক্ষে ম্যাচের ৩৬তম মিনিটে চেলসির মিডফিল্ডার ক্রিস্তিয়ান পুলিসিকের থ্রু থেকে ঠান্ডা মাথায় ওয়েলসের গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন টিমোথি উইয়াহ।
এই গোল অভিষেকে বিশ্বকাপ গোল টিমোথির। ৪ বছর আগে আন্তর্জাতিক অভিষেকেও গোল করেছিলেন তিনি, খেলা ছিল বলিভিয়ার বিপক্ষে।
যুক্তরাষ্ট্রের জার্সি গায়ে এখন পর্যন্ত ২৬ ম্যাচ খেলে ৪ গোলের দেখা করেছেন টিমোথি। তার বাবা জর্জ উইয়াহ লাইবেরিয়ার হয়ে ৬১ ম্যাচে করেছেন ২২ গোল; ক্লাব ক্যারিয়ারে ৪১১ ম্যাচে করেছেন ১৯৩ গোল।